Site icon The News Nest

দীপিকা, সারা ও শ্রদ্ধার ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করল এনসিবি, খতিয়ে দেখা হবে অ্যাকাউন্টও

deepika padukone sara ali khan shradhha kapoor rakul preet

সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত যেন মেগা সিরিয়াল! আসল ঘটনা নিয়ে তদন্তকারীদের বিশেষ উৎসাহ আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। সবটাই গিয়ে পড়েছে মাদকে। আসল ঘটনা কী বিহার ভোট এপিসোডের পরে শুরু হবে? বুঝতে পারছেন না দেশবাসী। যাই হোক মাদক নিয়ে যে কান্ডকারখানা হচ্ছে তাতে মিডিয়ার দোকান খারাপ চলছে না। বিক্রিবাটা ভালই।

বলিউডে মাদকযোগের জট ছাড়াতে রীতিমতো তৎপর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ছাড় পাচ্ছেন না অভিনেতা থেকে পরিচালক। ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে দীপিকা, সারা, রাকুল, শ্রদ্ধার মতো প্রথম সারির অভিনেত্রীকে। যদিও, দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর চার অভিনেত্রীর প্রত্যেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা কোনওদিনই মাদক নেননি। তদন্তের স্বার্থে চারজনেরই ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : Unlock 5: খুলবে কি ট্রেন? পুজোর আগে কোন কোন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল হতে পারে?

জানা গিয়েছে, দীপিকা (Deepika Padukone), সারা, শ্রদ্ধা, রাকুলপ্রীত গত ৩ বছর ঠিক কত টাকা আয় করেছেন এবং কত টাকা ব্যয় করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা ক্রেডিট কার্ড ঠিক কোন কোন জায়গায় ব্যবহার করেছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আদতে মাদক কেনাবেচার ক্ষেত্রে তাঁরা টাকা লেনদেন করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দিকে নজর দিয়েছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, NCB’র কাছে জেরায় ইতিমধ্যে দীপিকা পাড়ুকোন মাদক সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

এনসিবি-র এই আকস্মিক তৎপরতার মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। মনে করা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসে সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে জেএনইউ-র ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোই কাল হল দীপিকার। সেই ঘটনার পর থেকেই বিজেপি স্বঘোষিত ভাবে দীপিকা বিরোধী। এ-ও বলা হচ্ছে, তদন্তও ঠিক করে না এগোনয় মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে মাদকাসক্তির বিষয়টিকে আরও বড় ভাবে দেখানো হচ্ছে। সামিল করা হয়েছে সারা, শ্রদ্ধা, রাকুলের মতো নামকেও। যদিও এর পর থেকেই শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা আচমকাই ঊর্ধ্বমুখী।সামনেই বিহারের ভোটের কথা মাথায় রেখে কি বলিউডের মাদকাসক্তিকে ‘ইসু’ করছে নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমারের দল?

রাজনৈতিক দলের নেতারা বা কর্মীরা মাঝে মাঝেই অভিযোগ করেন যে , তাদের মিথ্যা গাঁজা মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ। সব থাকতে গোটা দেশের এই কজনকে নিয়ে এনসিবি এমন তৎপর হয়ে উঠলো কেন তা অবশ্য মালুম করতে পারছেন না কেউ। এমনিতে রুপালি জগৎ ছাড়াও নানা শিল্পের জগতের সঙ্গে মাদকের যোগ আছে তা বহু শ্রুত। তা নিয়ে এমন তৎপরতা অবশ্য আগে নজরে আসেনি। মিডিয়া যেভাবে তা কভার করছে ,তাতে কৃষক বিক্ষোভ পিছনে পরে যাচ্ছে। খুনের মামলার কী হল? মেগা সিরিয়ালে এমন প্রশ্ন করতে নেই। মিডিয়ার ভাবখানা এমনই।

ইতিমধ্যেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর প্রধান রাকেশ আস্থানা দিল্লি থেকে মুম্বই চলে এসেছেন। এনসিবি-র আধিকারিকদের সঙ্গে রবিবার গভীর রাতে তিনি বৈঠক করেন বলে জানা যাচ্ছে। এখনও অবধি যাঁদের জেরা করা হয়েছে, তাঁদের ‘ক্লিনচিট’ তকমা না দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন রাকেশ।

আরও পড়ুন : কৃষক বিক্ষোভের আগুন রাজধানীতে, পুড়ল ট্রাক্টর

Exit mobile version