‘‌ডার্টি পিকচার’–খ্যাত ‘শাকিলা’র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার যোধপুর পার্কের আবাসনে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

যোধপুর পার্কে অভিনেত্রীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার সকালে ঝুলবারান্দায় শেষ বার তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সকাল ১০টা নাগাদ পরিচারিকা এসে ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়া পাননি। ফোনও বেজে যায়। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীদের খবর দেন তিনি। পরে পুলিশ এসে অভিনেত্রী আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তের দাগ মিললেও, দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

প্রখ্যাত সেতারবাদক পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট মেয়ে আরিয়ার আসল নাম দেবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দুস্তানি ধ্রুপদী সঙ্গীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আরিয়া অভিনয় শেখেন মুম্বইয়ে অনুপম খেরের অভিনয় স্কুল থেকে। বলিউডে তাঁর প্রথম সিনেমা দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘‌লাভ সেক্স অউর ধোকা’‌ (‌২০১০)‌ এবং পরের বছরই তিনি অভিনয় করেন বিদ্যা বালন অভিনীত ‘‌দ্য ডার্টি পিকচার’‌–এ। এর পর তাঁকে আর কোনও সিনেমায় দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: শ্যুটিং থেকে ফিরেই ‘আত্মঘাতী’, বিয়ের কয়েক মাস আগে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে রহস্য, তদন্তে পুলিশ

আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী আদিত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‌ছোটবেলা থেকেই চিনি আরিয়াকে। আমার মায়ের কাছে ও পড়তে আসত। বলিউডে দুটো সিনেমা করেছে আরিয়া। নাম করা মডেলও ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ছন্নছাড়া একটা জীবন যাপন করছিল সে। পাড়ার লোকজনের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করত। দেখাও যেত না ওকে। ওর এভাবে মৃত্যুর খরবটা অবশ্যই বেদনাদায়ক, কিন্তু একেবারেই যে অপ্রত্যাশিত, তা নয়। যদিও কীভাবে মৃত্যু তা আমি বলতে পারব না।’‌

তিনি আরও জানান, বাড়িতে একেবারে একাই থাকতেন আরিয়া। প্রখ্যাত সেতারবাদক পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ছিলেন আরিয়া। ঘটনার ব্যাপারে আরিয়ার পরিচারিকা চন্দনা দাস বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকবার ফোন করি। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল। বেল বাজিয়েও কোনও সাড়া পাইনি। পুলিশ এসে দরজা খোলার পর দেখলাম, মুখ থুবড়ে উল্টে পড়ে রয়েছে আরিয়া। রক্ত ছড়িয়ে রয়েছে মেঝেতে।’‌ তিনি আরও বলেন, ‘‌খুব বেশি কথা বলত না দিদি। আমি এলে নিজের কুকুরটাকে নিয়ে অন্য ঘরে গিয়ে বসে থাকত।’‌

ঘটনাস্থলে এসে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়ান্দারা। তাঁরা প্রতিবেশী ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লেক থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: ডিপিতে থেকে সরালেন রোশনের ছবি, মুছে গেল ‘সিং’ পদবি, তাহলে কি চরম সিদ্ধান্তের পথে শ্রাবন্তী?

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest