জতুগৃহে আটকে পড়লেন ৬০ বছরের যাজক ‘যোসেফ’ পরমব্রত!

গল্প নিয়ে বিশেষ মুখ না খুললেও প্লটের খানিক ভূমিকা দিলেন পরিচালক।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পোড় খাওয়া অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-কে এবার দেখা যাবে ৭০ বছর বয়সী পাদ্রী জোসেফের ভূমিকায়। ছবি প্রেমীদের কাছে এ নিঃসন্দেহে দারুণ খবর। আগে কখনও এমন কোনও চরিত্রে তাঁরা তাঁদের প্রিয় পরমব্রতকে দেখার সুযোগ পাননি।

পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু সবসময়েই বাংলা ছবিকে নতুনভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন। কাজ করেছেন অভিনব বিষয় নিয়ে। আবার তিনি হরর ছবিতে হাত পাকাচ্ছেন। আগেই নায়ক-নায়িকার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। প্রথমবার বনি-অনামিকা জুটিকে দর্শকের সামনে আনছেন পরিচালক। ছবিতে তাঁদের অভিনীয় চরিত্র রেহান-মেঘনার একটা রসায়ন থাকছে ঠিকই। তবে লভ স্টোরিতে সেইভাবে ফোকাস করছেন না পরিচালক। তাঁর হরর মিস্ট্রি ছবি ‘জতুগৃহ’নিয়ে তাই আগ্রহ বাড়ছে। আগ্রহ আরও বাড়াচ্ছে পরমব্রতর এন্ট্রি। সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে পরমব্রতর ক্যারেক্টর পোস্টার।

জি ২৪ ঘণ্টার তরফ থেকে পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘বাংলা ছবি পরিচালনা, বলিউডের ছবিতে কাজ সব নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতা। তাঁর ডেট পাওয়ার পর চিত্রনাট্য শোনাই তাঁকে। চরিত্রটি শুনেই রাজি হয়েছিলেন পরমব্রত। এক চার্চের ফাদার, চরিত্রের নাম জোসেফ। মিডল এজের সিনিয়র ফাদার তিনি। ষাটের কাছাকাছি বয়স। অভিনেতাকে এখনও কলেজের ছাত্রর চরিত্রে মানিয়ে যায়, সেখানে এত বয়সী একটা চরিত্র করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাই তাঁর চোখের মণির রঙ, স্কিন টোন, হেয়ারস্টাইল বদলানো হবে। চেহারায় ভারিক্কি আনার জন্য প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্য় নিতে হবে। গল্পে তাঁর চরিত্রটি কোনও সাপোর্টিং চরিত্র নয়,বরং বনির মতই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: ত্রাণ কাজে ব্যস্ত ‘দেশের মাটি’-র কিয়ান, ‘আইসোলেশনে’ রাহুল

পরিচালক এও জানান, ‘মে মাসের মাঝামাঝি শুটিং শুরুর কথা ছিল। লকডাউনের জন্য তা আটকে যায়। জুনের মাঝামাঝি শুটিংশুরু করার প্ল্যানিং রয়েছে। ছবির বেশিরভাগ শুটিং হবে উত্তরবঙ্গে, বাকিটা কলকাতায় । ঠিক সময় শুটিং শুরু হলে এই ছবি মুক্তি পাবে শীতের সময়, ঠিক যে সময় সকলে রোম্যান্টিক মুডে থাকেন, মত সপ্তাশ্বর।

ছবির নামকরণে কি কোথাও মহাভারতের ছোঁয়া আছে? প্রশ্নের উত্তরে Saptaswa বলেন, ‘থিম্যাটিকালি আমি এমন একটি বাড়ি বা ফাউন্ডেশনের কথা বলতে চেয়েছিলাম যার ভিত খুব নড়বড়ে, হঠাত্‍ করেই আগুন লেগে পুড়ে সব ছাই হয়ে যেতে পারে। সেই বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কী হয়, তাই এউ কাহিনিতে মেটাফরিকালি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই সব কারণেই এমন নামকরণ করা।’

গল্প নিয়ে বিশেষ মুখ না খুললেও প্লটের খানিক ভূমিকা দিলেন পরিচালক। জানালেন, ‘শহরের এক যুবক পাহাড়ের উপরে একটি হোটেলের ম্যানেজারের চাকরি নিয়ে যায়। একটি হন্টেড ম্যানসনে স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকেই তাকে ঘিরে ধরে ভৌতিক এনার্জি। অতীতের নানা ভুলে যাওয়া গোপন তথ্য চলে আসে সামনে। এগোয় গল্পের প্লট।’

আরও পড়ুন: পোশাকহীন ‘নগ্ন’ শরীর শুধু ক্রিস্টাল ঢাকলেন প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খলিফা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest