জোরালো হচ্ছে খুনের তথ্য…নিয়মিত মাদক দেওয়া হত সুশান্তকে, সামনে এল রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সুশান্তের মৃত্যু সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের দিকটা খতিয়ে দেখছে ইডি, মৃত্যুর তদন্ত করছে সিবিআই। এবার তদন্তে যোগ ছিল তৃতীয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। মঙ্গলবারই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে যুক্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের টিম হদিশ পায় মাদক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর। সেই সংক্রান্ত তথ্য সিবিআই এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর সঙ্গে গতকালই ভাগ করে নেয় ইডি। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে যোগ দিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। দেশের এই কেন্দ্রীয় সংস্থাই ড্রাগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার মূল দায়িত্বে রয়েছে।

ইডির তরফে চিঠি লিখে এই তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় এনসিবিকে। তা গ্রহণ করেছেন এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। বুধবার এনসিবি প্রধান রাকেশ আস্তানা জানান, ‘আমার ইডির তরফে একটি চিঠি পেয়েছি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যেখানে  বলা হয়েছে তাঁরা নিজেদের তদন্তে আর্থিক তছরুপের দিকটা খতিয়ে দেখবার সময় খোঁজ পেয়েছে রিয়া এবং সুশান্তকে ড্রাগের জোগান দেওয়া হত। এবার এনসিবির একটি টিম তদন্ত করবে এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে’।

​সিগারেটের মধ্যে গাঁজা ভরে খেতেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সম্প্রতি এমনই দাবি করেন সুশান্তের রাঁধুনি নীরজ সিং। তিনি বলেন, স্যামুয়েল জেকব মাঝে মধ্যেই সিগারেটের মধ্যে গাঁজা ভরে দিতেন সুশান্তকে। তিনিও অনেক সময় সুশান্তকে সিগারেটের মধ্যে গাঁজা ভরে দিয়েছেন। তবে ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর সিগারেটের বাক্স খোলা হলে, তা সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল বলে দাবি করেন নীরজ।

আরও পড়ুন: বাথরুমে তোয়ালে পরে ‘মিরর সেলফি’! ইনস্টাগ্রামে উষ্ণতা ছড়ালেন মন্দানা করিমি

সুশান্তের রাঁধুনির ওই দাবি প্রকাশ্যে আসার পর ফের ভাইরাল হল রিয়ার সঙ্গে সুশান্তের বিজনেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর কথা। রিয়া এবং শ্রুতি মোদীর কথপোকথন থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, গাঁজা ছাড়তে চেয়েছিলেন সুশান্ত। গাঁজার অভ্যেস থেকে নিজেকে প্রায় সরিয়েও ফেলেছিলেন তিনি। তবে সুশান্ত নিজেকে গাঁজার টান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রবল চেষ্টা শুরু করার পরই তাঁকে মাদক দেওয়া শুরু করেন রিয়া। শ্রুতি মোদীর সঙ্গে রিয়ার যে কথপোকথন সংবাদমাধ্যমের সামনে উঠে এসেছে, তা থেকে এই অভিযোগ বেশ স্পষ্ট।

Rhea whatsapp chat with drug dealers

ইডি-র সন্দেহ, রিয়া মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সেই সূত্র ধরেই সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস নাও’ রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খুঁজতে গিয়ে দেখে, বত বছরের ২৫ নভেম্বর রিয়ার বন্ধু জয়া শাহ হোয়াটসঅ্যাপে রিয়াকে লেখেন, “চার ফোঁটা জলে বা চায়ে মিশিয়ে ওকে সিপ করাও… ৩০-৪০ মিনিট পরে মাতাল হবে (‘কিক’)।” রিয়া উত্তরে লেখেন, “ধন্যবাদ।” জয়ার উত্তর আসে, “কোনও অসুবিধে নেই। আশা করি এটা কাজ দেবে।” উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জয়া এবং রিয়া ১০০ বার ফোনে কথা বলেছেন, যার মধ্যে ২৯টি কল জয়া করেছিলেন এবং বাকি কলগুলি করেছিলেন রিয়া। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরে রিয়ার প্রথম কলটি ছিল জয়া শাহকে। সুশান্তের মৃত্যুর খবর দুপুর ২.২৭ মিনিটে আসে এবং ২.৩৩ মিনিটে রিয়া ও জয়ার মধ্যে কথা হয়।

ইতিমধ্যেই ইডি জয়া শাহকে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করেন জয়া শাহ। ফলে অনেক স্টারের সঙ্গে সখ্য রয়েছে তাঁর৷ জয়া ও রিয়ার বন্ধুত্ব ছিল। অভিযোগ উঠেছে, রিয়াকে মাদক সরবরাহ করতেন জয়া শাহ। জানা গিয়েছে, রিয়ার ভাই সৌভিকের বন্ধু ছিলেন গৌরব নামে আর এক মাদক বিক্রেতা। তাঁর কাছে থেকেও সুশান্তের জন্য রিয়া মাদক আমদানি করতেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সুশান্তকে সেই মাদক দেওয়ায় সাহায্য করতেন শ্রুতি মোদী, স্যামুয়েল মিরান্ডারা।

এখান থেকে রিয়ার জন্য তৈরি হল আরও প্রশ্ন। রিয়াই কি চেয়েছিলেন সুশান্ত ড্রাগের নেশা করুক? চাইলে কেন?

আরও পড়ুন: এবার আত্মজীবনী লিখছেন সইফ আলি খান, ঘোষণা হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বন্যা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest