দিদির দেওয়া নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সুশান্তের মৃত্যু, পাল্টা FIR দায়ের করলেন রিয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর মামলায় কাঠগড়ায় তিনি। ভাই সৌভিককে (Showik Chakraborty) গ্রেপ্তার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। নিজে রবিবার থেকে NCB আধিকারিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিয়ে চলেছেন। এরই মধ্যে পালটা আক্রমণের পথে হাঁটলেন রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। অবৈধ প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে সুশান্তকে ওষুধ জোগাড় করে দিয়েছিলেন দিদি প্রিয়াঙ্কা।

মুম্বই পুলিশের কাছে সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং, চিকিৎসক তরুণ কুমার এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোমবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেত্রী। নকল প্রেসক্রিপশন বানিয়ে সুশান্তকে ওষুধ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ নিয়ে এলেন তিনি।

রিয়ার অভিযোগ, এই ভুয়ো প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমেই অভিনেতাকে মানসিক অবসাদের জন্য এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল যা বৈধ ভাবে কখনওই কেনা সম্ভব নয়। এই নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই নাকি অভিনেতার মৃত্যু হয়। এই প্রেসক্রিপশনেই সুশান্তকে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের ‘আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট’-এর রোগী বলে উল্লেখ করা হয়। তার মানে, তিনি সাময়িক চিকিৎসার জন্য ওই দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।অথচ সেখানে উল্লেখ করা দিনটিতে, অর্থাৎ ৮ জুন সুশান্ত মুম্বইতে ছিলেন।

আরও পড়ুন: ঋতুপর্ণ ঘোষকে শ্রদ্ধার্ঘ্য! পুজোতে আড্ডা টাইমস – এ আসছে ‘উৎসবের পরে’

সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক ৬ দিন আগে অভিনেতার সঙ্গে তাঁর দিদির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উপর ভিত্তি করেই এই অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া। সেখানে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা তাঁর ভাইকে লিব্রিয়াম, নেক্সিটো এবং লোনাজেপ নামের তিনটি ওষুধ খেতে বলেন। ‘অ্যাংজাইটি অ্যাটাক’-এর জন্যই নাকি সুশান্তকে এই ওষুধ দেন তিনি। অথচ এই তিনটি ওষুধকে টেলি মেডিসিনস প্র্যাকটিস গাইডলাইনসে ক্ষতিকর এবং নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রিয়া জানান, ভাইবোনের মধ্যে ওষুধ নিয়ে এই আলোচনা সেই দিনই হয় যে দিন তিনি সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

ছ’পাতার দীর্ঘ অভিযোগে রিয়া লেখেন, যারা সুশান্তকে এ ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ খাইয়ে তাঁকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া খুব জরুরি।সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার দাবি করে, অভিনেতার মানসিক অবসাদের ব্যাপারে তারা কিছু জানত না। কিন্তু এই চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই এই কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাইকে মুম্বইয়ের সব থেকে ভাল চিকিৎসক খুঁজে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। চিকিৎসার গোপনীয়তা বজায় রাখার কথাও তিনি বলেন অভিনেতাকে।তা হলে কি সত্যিই তাঁর দিদি ভুল ওষুধ খাওয়াতেন অভিনেতাকে? বিষক্রিয়া থেকেই কি এই মৃত্যু? রিয়ার অভিযোগ অনেক নতুন প্রশ্ন আবার সামনে নিয়ে এল।

আরও পড়ুন: এবার ওয়েব সিরিজে দেবদাস! নয়া টুইস্ট নিয়ে পর্দায় আসছেন রাইমা, গৌরব এবং মধুমিতা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest