Site icon The News Nest

অনুপম-পিয়ার সাজানো সংসার ভাঙার নেপথ্যে রয়েছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা? গুঞ্জন টলিউডে

anupam 1

৬ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি, এখন শুধুই বন্ধু-বৃহস্পতিবার টুইট বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন অনুপম রায় ও পিয়া। কলেজ জীবনের বান্ধবীর সঙ্গে ২০১৫ সালে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন অনুপম রায়। কিন্তু টিকল না সেই বিয়ে।

কিন্তু টলিউডের ‘হ্যাপি কপল’ হিসাবেই পরিচিত অনুপম-পিয়া, আচকমা হলটা কী দুজনের! যে দুজনে বিয়েটা ভেঙে ফেলবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। ডিভোর্সের কারণ হিসাবে অনুপম উল্লেখ করেছেন, ‘ব্যক্তিগত মতভেদ’। কিন্তু শুধুই কী তাই? নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির যোগ!

জোর চর্চা, পুরো অঘটনের নেপথ্য নায়ক নাকি টলিউডের এক প্রথম সারির তারকা! যিনি টলিউডের মতোই বলিউডেও সমান ব্যস্ত। একই সঙ্গে তিনি শাসকদলেরও ঘনিষ্ঠ। সেই নায়কের সঙ্গেই নাকি বেশ কিছু দিন ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনুপম-পত্নী। অতিমারি এবং ইয়াস বিধ্বস্ত সুন্দরবনে শিল্পী দম্পতি এবং সেই অভিনেতা ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছিলেন। টলিউডের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে সেই জনপ্রিয় অভিনেতার নাম।

আনন্দবাজার অনলাইনের খবর অনুযায়ী, ইয়াসে যখন গোটা বাংলা বিপর্যস্ত তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তন্ময় ঘোষের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এই মঞ্চেই যোগ দিয়েছিলেন অনুপম, পরমব্রত, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় সহ এক ঝাঁক তারকা। যুক্ত হয়েছিল পিয়া চক্রবর্তীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হেডস’। এঁরাই অতিমারির সময় গঠন করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’। পরে সেই সংগঠনে যোগ দেন পিয়া চক্রবর্তী।

উঠে আসছে আরও একটি ঘটনা। ২৭ জুন জন্মদিন ছিল পরমব্রতর। একটি পোস্টে পিয়া সে দিন শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তাঁর ‘বন্ধু’কে। পরমব্রতর সঙ্গে ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন। আরও অনেক স্মৃতি তৈরি করব আমরা।’

১৬ অগস্ট ছিল পিয়া চক্রবর্তীর জন্মদিন। সে দিন পরমব্রত ফিরিয়ে দেন সেই শুভেচ্ছা। ইনস্টাগ্রামে পিয়ার সঙ্গে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এবং অনুষা বিশ্বনাথনকে। ছবি দিয়ে পরমব্রত লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন বন্ধু। কমরেড, ভরসার মানুষ। চল, অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি তৈরি করি। ঠিক যে রকমটা তুমি চেয়েছিলে জন্মদিনে।’

পাশাপাশি সূত্রের আরও খবর, ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, তার দেখভালে তৈরি হয়েছে নয় সদস্যের এক কমিটি। নাম না হওয়া সেই কমিটির প্রধান পরমব্রত। এবং সম্প্রতি তাতে নাকি যোগ দিয়েছেন পিয়াও। এগুলোই কি দাম্পত্য ভাঙার নেপথ্য অনুঘটক?

Exit mobile version