নয়া বছরেও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা নিয়ে চাপে সলমন খান। শনিবারই শুনানির জন্য আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল বলিউড তারকার। কিন্তু উপস্থিত হননি তিনি। যে কারণে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিল যোধপুরের নগর দায়রা আদালত।
১৯৯৮ সালে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা (Blackbuck Poaching case) করার অভিযোগ ওঠে দাবাং খানের বিরুদ্ধে। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্যে থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সলমন।
আরও পড়ুন: পাত্র দুবাইবাসী, এবার বিয়ের পিঁড়িতে ‘নাগিন’ খ্যাত মৌনী রায়
সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্যে থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সলমন। গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সলমন চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা।
এরপরই সলমনের (Salman Khan) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। এই মামলায় পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা হয় অভিনেতার। ২০১৮ সালে যোধপুর দায়রা আদালত ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তারপর থেকে জামিনেই তিনি জেলের বাইরে রয়েছেন।
ভাইজানের ফ্যানেরা কেউ কেউ বলেছেন , দিল্লি গণহত্যার বিচার হবে কবে? গুজরাত গণহত্যার জন্য যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে দায়ী তাদের বিচার হবে কবে ? ‘গুলি মারো শালোকে’ হুঙ্কারের পর যে গণহত্যা হল, তার বিচার কবে হবে?
আরও পড়ুন: সিজন চেঞ্জে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন? সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সাত নিয়ম