‘Searching for Happiness’-এর বার্মিংহাম যাত্রা, মা-মেয়ের যুগলবন্দি দেখার অপেক্ষায় দর্শক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’। এ গল্প শাহিদা নীরার। এ গল্প সুমন ঘোষের। আসলে এ গল্প আপনারও। বার্মিংহাম ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আজ দেখানো হচ্ছে এই ছবি। সুমনের পরিচালনায় অভিনয় করেছে শাহিদা নীরা। ব্যক্তিগত সম্পর্কে যে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং পরিচালক অভিষেক সাহার কন্যা। শাহিদা ছাড়াও এই ছবি সমৃদ্ধ সুদীপ্তার অভিনয়ে।

পরিচালক সুমন ঘোষের মেয়ে মায়া, একদিন বেলুন নিয়ে খেলতে খেলতে নিজেই সেই বেলুনের নাম দেয় Happiness, এরপর উড়িয়ে দেয় সেই বেলুন। তাঁৎ ধারণা ছিল মায়ামি থেকে বস্টনে তাঁর জ্যেঠুর বাড়ি হয়ে কলকাতায় তাঁর মামা বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়বে হ্যাপিনেস। কিন্তু বেলুন উড়ে যাওয়ার পরই ছোট্ট মেয়ের খেয়াল হয় হ্যাপিনেস উড়ে গেল। তখনই চারিদিকে সে খুঁজতে বের হয় সেই বেলুন। জনে জনে গিয়ে প্রশ্ন করে সে হ্যাপিনসকে দেখেছ?

আরও পড়ুন: অসুস্থ সংগীতশিল্পী কবীর সুমন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি এসএসকেএমে

sumanmid

এই ঘটনার পরই সুমন ঘোষের মাথায় আসে একটি ছবির প্লট। সুদীপ্তা চক্রবর্তীকে ফোন করে সেই ছবির গল্প শোনান, অভিনেতা রাজিও হন। কিছুদিন পর শিশু শিল্পীর চরিত্রে সুদীপ্তার মেয়ে শাহিদাকে কাস্ট করার কথা ভাবেন সুমন। বয়সের দিক থেকে একটু ছোট হলেও শাহিদা পারবে এমন আশা ছিল পরিচালকের। সুদীপ্তাকে রাজি করিয়ে নেন তিনিই। এরপরই মাদার-ডটার ডুয়োর অভিনয়ে তৈরি হয় ‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’ছবিটি।

‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস’-এর বিদেশী ফেস্টিভ্যাল যাত্রা প্রথম নয়। মায়ামি, লন্ডন ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। সুদীপ্তা জানালেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে মুক্তির পরিকল্পনাও করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। ফের সিনেমা হল খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে এই ছবি মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন নির্মাতারা।

সুদীপ্তা জানালেন, এই ছবির কোনও চিত্রনাট্য ছিল না। আলাদা করে ছবির জন্য নীরাকে তৈরি করতে হয়নি। তিনি শেয়ার করলেন, “ওকে কোনও লাইন মুখস্থ করানো হয়নি। কোনও ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়নি। ছবির ঘটনাটা ওকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল। ওর সঙ্গে বসে আকাশে বেলুন উড়িয়েছিলাম আমরা। ও জানত, বেলুনের নাম হ্যাপিনেস। এ বার ওকে বলা হয়েছিল, এই রে হ্যাপিনেস তো উড়ে গেল, সবাইকে জিজ্ঞেস করো তো, হ্যাপিনেসকে দেখেছে কি না..। সুমন অ্যাকশন বললেই ও দৌড়তে শুরু করত। আর ট্রাফিক পুলিশ, দোকানদার, আরও অনেককে গিয়ে জিজ্ঞেস করত। ও যেমন হেঁটেছে, যেমন দৌড়েছে সেটাই শুট হয়েছে।”

আরও পড়ুন: অভিনয়ে মন দিতে মাঝ পথে পড়াশোনা ছাড়লেন ইরফান পুত্র বাবিল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest