কলকাতা: কথা ছিল বহু প্রতীক্ষিত এই শুটিং শুরু হবে বুধবার অর্থাৎ ১০ জুন। কিন্তু ঠিক একদিন আগে গোটা মঙ্গলবার দিনভর মিটিং-বৈঠক এবং নাটকের পরে গভীর রাতে নতুন করে অচলাবস্থা তৈরি হল সিনে পাড়ায়।
আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত শিল্পীদের করোনা সংক্রান্ত বিমার কাগজ তাঁরা হাতে পাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও শিল্পী শুটিংয়ে অংশ নেবেন না। বুধবারের পরিবর্তে তা হলে কবে থেকে শুটিং শুরু হবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে এক ঘোর অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, রাতে সিল করা হল নিজাম প্যালেস
দু’দিন আগে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনে সব পক্ষ শর্ত মেনে বুধবার শুটিং শুরু করার বলা হলেও ফোরাম উল্টোপথে হাঁটল কেন? অভিনেতাদের অনেকেই বলছেন, প্রসেনজিতের অনুপস্থিতিতে ফোরামে ডামাডোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
কার্যকরী প্রেসিডেন্ট শঙ্কর চক্রবর্তী ঝামেলা সামলাতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গে দেবদূত ঘোষ আছেন। এঁরা বামপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ফলে রাজনীতি বড় হয়ে দেখা দেয় সভায়।
টানাপোড়েনের মধ্যে সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনেরও কিছু অভিযোগ ছিল। ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সদস্যদের নিয়েই কেন শুটিং করতে হবে, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে টলিউডে। চাপ, পাল্টা চাপের খেলায় লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন আপাতত স্তব্ধ।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, আচমকাই শেষ মুহূর্তে এ রকম একটা সিদ্ধান্তে বিভিন্ন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বেজায় চটেছে ফোরামের উপর। স্টুডিয়ো স্যানিটাইজ করা শেষ, আর্টিস্টরাও কলটাইম পেয়ে গিয়েছেন, তা সত্ত্বেও হঠাৎ করে এমন একটা সিদ্ধান্ত কেন নিল ফোরাম তা নিয়ে খাপ্পা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ঘনিষ্ঠ মহলে তারা জানিয়েছেন, পূর্বনির্ধারিত সময় অর্থাৎ ১৫ জুনের মধ্যে যদি ধারাবাহিকের নতুন এপিসোড দেখানো না যায় তা হলে সেক্ষেত্রে ডাব করা ধারাবাহিক সম্প্রচারের দিকেই হাঁটবে চ্যানেলগুলি। তবে আশঙ্কা, বর্তমানের অচলবস্থা কাটিয়ে নতুন এপিসোড সম্প্রচার করতে জল গড়াতে পারে পুজো অবধি।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইন্দ্রাণী হালদার, দিতিপ্রিয়া রায়রা বেশ উদ্দীপ্ত ছিলেন। বুধবার শুটিং করতে যাবেন বলে। দিতিপ্রিয়ার কথা ছিল, ‘শুটিং শুরু করব। তবে নিয়মাবলীর খুঁটিনাটি জানতে চাই।’ ইন্দ্রাণী বলছিলেন, ‘স্যানিটাইজার, ওয়াশেবল মাস্ক নিয়েছি। যাতে মাস্কে মেকআপ লাগলেও ধুয়ে ফেলা যায়। ইলেকট্রিক কেটল কিনে নিয়েছি। শুটিংয়ে বারবার গরম জল খাব।’
আরও পড়ুন : কেবল কাশি হলেও অফিসে আসার দরকার নেই, সরকারি কর্মীদের নয়া নির্দেশিকা নবান্নের