মৃত্যুর পর তাঁর সব সৃষ্টি যেন ধ্বংস করা হয়, উইল করলেন কবির সুমন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সোশাল মিডিয়ায় নিজের ইচ্ছাপত্র প্রকাশ করলেন বর্ষীয়ান গায়ক, গীতিকার, সুরকার, প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন। ”সজ্ঞানে, সচেতন অবস্থায়” নিজের ইচ্ছাপত্র লিখলেন সুমন। সেখানে তিনি লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর পর যেন সমস্ত সমস্ত সৃষ্টি ধ্বংস করে দেয় কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার তাঁর ফেসবুক ওয়ালে নিজের প্যাডে লেখা ইচ্ছাপত্রটি আপলোড করেছেন।

সকলের অবগতির জন্য কবির লেখেন, ‘সজ্ঞানে, সচেতন অবস্থায়, স্বাধীন চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জানাচ্ছি, আমার কোনও অসুখ করলে, আমায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে, অথবা আমি মারা গেলে, আমার সম্পর্কিত সব কিছুর, প্রতিটি বিষয় ও ক্ষেত্রে দায়িত্বগ্রহণ এবং সিদ্ধান্তগ্রহণের অধিকার থাকবে একমাত্র মৃন্ময়ী তোকদারের (মায়ের নাম প্রয়াত প্রতিমা তোকদার, বাবার নাম দেবব্রত তোকদার)। অন্য কারওর কোনও অধিকার থাকবে না এই সব বিষয় ও ক্ষেত্রে’। সুমনের পোস্টের নীচে মৃন্ময়ী লিখেছেন, তিনি সুমনের দেওয়া ওই দায়িত্ব স্বীকার করে নিচ্ছেন।ফেসবুক পোস্টের নীচে সুমন লিখেছেন, ‘জন্মস্বাধীন। স্বপরিশ্রমে ও স্বখরচায় স্বেচ্ছাচারী, কবীর সুমন’।

আরও পড়ুন : যুব কমিটি ভাঙলেন দিলীপ, ইস্তফা ঘোষণা করে হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ‘অপমানিত’ সৌমিত্র খাঁ

ইচ্ছাপত্রে কবির সুমন আরও লিখেছেন, ‘আমার মৃতদেহ যেন দান করা হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে। কোনও স্মরণসভা, শোকসভা, প্রার্থনাসভা যেন না হয়। আমার সমস্ত পাণ্ডুলিপি, গান, রচনা, স্বরলিপি, রেকর্ডিং, হার্ড ডিস্ক, পেনড্রাইভ, লেখার খাতা, প্রিন্ট আউট যেন কলকাতা পুরসভার গাড়ি ডেকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেগুলি ধ্বংস করার জন্য। আমার কোনও কিছু যেন আমার মৃত্যুর পর পড়ে না থাকে। আমার ব্যবহার করা সব যন্ত্র, বাজনা, সরঞ্জাম যেন ধ্বংস করা হয়। এর অন্যথা হবে আমার অপমান’।

ফেসবুকে মানুষদের অযথা উপদেশ-পরামর্শ দেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন গায়ক। তিনি লেখেন, ‘খুব জরুরি বিষয়। আবেগহীনভাবে সকলকে জানিয়ে রাখছি, কারণ হঠাৎ কিছু ঘটে গেলে কঠিন সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় অনুরূপ একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল ২০১২ সালে আমি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর। খোলাখুলি সকলকে জানিয়ে রাখছি। অনুগ্রহ করে মতামত দেবেন না। ভালমন্দ কিছু লিখবেন না। এটা এক প্রবীণ মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি। অনেক অভিজ্ঞতার পর, অনেক ভেবেচিন্তে লিখছি। ফেসবুকে, যাতে অনেকেই এটা জেনে যান। অনুগ্রহ করে আবেগের বশবর্তী হবেন না, উপদেশ পরামর্শ দেবেন না’। লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কোনও হতাশা, দুঃখ, ব্যর্থতাবোধ, অবসাদ নেই। আমি সানন্দে বেঁচে আছি। আমার কাজ করে যাচ্ছি’।

নয়ের দশকের গোড়ায় ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবাম দিয়ে বাংলা আধুনিক গানের জগতে আবির্ভাব হয়েছিল সুমনের। প্রবল জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। মোড় ঘোরানো আধুনিক বাংলা গানের জনক হিসাবে তাঁকেই গ্রহণ করেছিল বাঙালি। কালক্রমে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। জড়িয়ে পড়েন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে। পরে তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদও হন। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে একটা সময় টানাপড়েন চললেও আপাতত তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক এবং বিজেপি-র কড়া বিরোধী।

আরও পড়ুন : নেপালের পুরনো মানচিত্র ব্যবহার করে ভারতবাসীকে দশেরার শুভেচ্ছাবার্তা ওলির, শুরু নতুন জল্পনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest