নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: বাউন্স করেছিল চেক। তার জেরেই ৬ মাসের জেলের সাজা হলো বলিউড অভিনেত্রী এবং মডেল কোয়েনা মিত্র-র। সম্প্রতি কোয়েনাকে এই সাজা শুনিয়েছে একটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন আর এক মডেল পুনম শেঠি। পুনমের অভিযোগ, তাঁকে ৩ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলেন কোয়েনা। কিন্তু সেই চেক ব্যাঙ্কে বাউন্স করে। এরপরেই কোয়েনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান পুনম। ২০১৩ সালে কোয়েনাকে একটি আইনি চিঠিও পাঠান পুনম। শুরু হয় মামলা। অবশেষে কোয়েনা মিত্রকে ৬ মাসের জেলের সাজা শুনিয়েছে আদালত। যদিও গোটা ঘটনাই অস্বীকার করেছেন কোয়েনা। তাঁর দাবি, এমন কোনও চেক তিনি দেননি। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। নিজেকে নির্দষ প্রমাণ করতে উচ্চতর আদালতেও কোয়েনা আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
অনেকদিন ধরেই লাইমলাইটের আড়ালে ছিলেন কোয়েনা। কেরিয়ারের শুরুর দিকে অভিনেত্রী হিসেবে তেমন পরিচিতি না পেলেও, মডেল এবং আইটেম ড্যান্সার হিসেবেই যথেষ্টই জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বহুদিন বলিউডের কোনও ছবিতেই দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু এতদিন পর হঠাৎ কোয়েনা মিত্র-র জেলের সাজার খবর শুনে হতবাক বি-টাউনের অনেকেই।
অন্যদিকে, ছোটপর্দার অত্যন্ত পরিচিত মুখ বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীকে শুক্রবার ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ চৌধুরি।
ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ চৌধুরি নির্দেশ দেন, যে টাকা বিশ্বজিৎবাবু যে অর্থ ধার নিয়েছিলেন, তা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি প্রাপককে অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ টাকাও দিতে হবে। গোটা ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিনেতা। শুধু বলেন, তাঁর আইনজীবীই যা বলার বলবেন। অভিনেতার আইনজীবী সৈকত দত্ত মজুমদারের কথায়, আইন অনুযায়ী কোনও অপরাধে কারও দু’বছর বা তার কম শাস্তি হলে আদালত সঙ্গে সঙ্গেই জামিনে মুক্তি দেয়। এক্ষেত্রেও জামিন পেয়েছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। আগামী একমাসের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবেন তাঁর আইনজীবী।