নাম নেই? পারিশ্রমিকও পাইনি, তুঙ্গে শ্রীলেখা ও পরিচালকের কাজিয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: দু’বছর আগের একটা ছবি। সেই ছবির পারিশ্রমিক এবং ক্রেডিট লাইন নিয়ে পরিচালক ও অভিনেত্রীর কাজিয়ায় সরগরম হয়ে উঠল সোশ্যাল মিডিয়া।

বুধবার শ্রীলেখা মিত্র নেটফ্লিক্সে থাকা তাঁর ছবি ‘রেনবো জেলি’র একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন ফেসবুকে। বক্তব্য, তাঁর অভিনীত পরি পিসির চরিত্রটি ছবির অন্যতম ইউএসপি। অথচ নেটফ্লিক্সের সাইটে অভিনেতার তালিকায় তাঁর নাম নেই। পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের কাছে এর জবাবদিহি চেয়েছেন অভিনেত্রী। সৌকর্য বলছেন, ‘‘নেটফ্লিক্সের লিস্টে নাম না থাকার বিষয়টি সত্যি নয়। এক একটা ফরম্যাটে তালিকাটা এক এক রকম দেখায়। উনিও জানেন এটা। কিন্তু একটু কাদা ছোড়াছুড়ি করে পাবলিসিটি পাওয়ার জন্যই হয়তো এটা করলেন।’’

5654654 0

এ দিকে শ্রীলেখার কথায়, ‘‘এত দিন পরে আমার পাবলিসিটির প্রয়োজন নেই। পরিচালক আদিত্য বিক্রম (সেনগুপ্ত) অনেক দিন আগেই নামের বিষয়টি জানিয়েছিল। তখন গুরুত্ব দিইনি। আরও কয়েকজন বলার পরে মনে হল, আমার স্টেপ নেওয়া উচিত। আর এই ছবির জন্য সৌকর্যর কাছ থেকে পারিশ্রমিক পাইনি।’’ সৌকর্য অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘আমার কাছে জিএসটি সার্টিফিকেট আছে। অন্যান্য ছবি থেকে উনি যে পারিশ্রমিক নেন, এ ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশিই নিয়েছিলেন।’’ অভিনেত্রীর সব অভিযোগ যেমন পরিচালক নাকচ করছেন, তেমনই অভিনেত্রীও পরিচালকের বিপরীত সুরে গাইছেন। ‘‘টাকাপয়সার সমস্যা ছিল বলে পরে টাকা নেব বলেছিলাম। কিন্তু দেড় বছর পরেও টাকা না পাওয়ায় সৌকর্যকে ফোন করি। সটান বলে, ‘কীসের টাকা?’ সেই রেকর্ডিং আছে। যে বাড়িটায় শুট হয়েছিল, আমার চেনাজানার সুবাদে শুটিংয়ের টাকা লাগেনি। মিউজ়িক রিলিজ়ের অনুষ্ঠানও বিনামূল্যে করিয়ে দিয়েছিলাম।’’

আরও পড়ুন: যৌনকর্মী খুন থেকে রবীন্দ্র সরোবরে ভেসে ওঠা নাড়িভুড়ি! রহস্যের সমাধান হবে ওয়েব সিরিজ ‘লালবাজার’-এ

56546541

শ্রীলেখা মিত্র বলেন, ”ঘটনাটা আমি আগে থেকেই জানি। তবে প্রথমে আমি গুরুত্ব দিই নি। কারণ, তার আগেই পরিচালক ও তাঁর প্রযোজক স্ত্রীর সম্পর্কে আমার ধারণা বদলে গিয়েছে। তবে আমাকে একজন একটা পোস্ট ট্যাগ করে, তখন আমি মুখ খুলি। যদিও আমি ফেসবুক পোস্টে কারোর নাম উল্লেখ করিনি। আমার মনে হয় তিনটের বেশি নাম দেওয়া যায় না বলেই চতুর্থতে ওঁরা আমার নাম দিয়েছে। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকা বাচ্চা ছেলেটির নাম দিয়েছে ঠিক আছে। বাচ্চা মেয়েটি যে ছিল তার নাম আমার আগে দেওয়ার কারণ আমি বুঝি নি। কৌশিক সেনের নামও থাকলো, অথচ ওখানে আমার নামটা কেন নয়? গল্পটা তো পরিপিসি আর ওই শিশুটিকে নিয়ে। এই নামগুলি পরিচালক, প্রযোজকের তরফেই যায়। ফোন অ্যাপে আমার নাম দেখা যাচ্ছে না। এটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দেখলে তখন চতুর্থ নামে আমার নাম দেখা যাচ্ছে। এবিষয়ে নেটফ্লিক্সের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। আর এই ছবিটার জন্য আমি অনেককিছু করেছি। সেটা সময় আসলে আমি বলবো।”

পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ”আমি একটাই কথা বলবো। কিন্তু ওঁর বয়ান বদলে যাচ্ছে। উনি প্রথম অভিযোগ করেছিলেন ওঁর নাম নেই। তারপর আমি স্ক্রিনশট দিলাম, তাতে ওঁর নাম স্পষ্ট। তার উত্তর এখনও আমায় দেয়নি। আর ওনি যে আদিত্য বিক্রমের কথা বলছেন, তাঁর যে ছবি জোনাকি, সেটা অ্যাপে ক্লিক করে দেখলে, প্রথম তিনজনের মধ্যে নায়কের নাম নেই। এখানে তো শ্রীলেখা দি নায়ক নন, তবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। নেটফ্লিক্সের অ্যাপের সিস্টেমটাই এমন যে তিনজনের নামই থাকে। যেমন দিল চাহতা হ্যায়, মাসান, অনেক ছবিরই গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাদের নাম প্রথম তিনজনের মধ্যে দেখা যায় না। আর এরপর উনি যে বলছেন যথেষ্ট পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। আমি তাই বলেছি, উনি যদি বলেন, আমি জিএসটি বিলও দেখিয়ে দিতে পারি। আমি যখন ওনার অভিযোগের উত্তর দিচ্ছি, উনি তো তাঁর জবাব দিচ্ছেন না। আর উনি যে বলছেন, নাম বাদ দেওয়া নিয়ে নেটফ্লিক্সের কেউ ওনাকে জানিয়েছেন। তাহলে সেবিষয়টিও তো ওনাকে সামনে আনতে হয়। ”

আরও পড়ুন: Unlock-1 শুরু হলেও নিয়মের ফাঁসে এখনও অনিশ্চিত ‘গোলন্দাজ’-এর শুটিং

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest