তাঁর হাত ধরেই বলিউডে এসেছিলেন মহিমা। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাঁকে মহিমার গডফাদার বলেই মনে করেন। সেই সুভাষ ঘাইকেই এ বার নিজের কেরিয়ার অকালে শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করলেন পরদেশ-নায়িকা মহিমা চৌধুরী।
অভিনেত্রীর অভিযোগ, সুভাষের জন্যই ‘পরদেশ’-এর পর আর ভাল ছবিতে কাজ পাননি তিনি। কারণ সুভাষ ঘাই নাকি প্রযোজকদের বারণ করেছিলেন মহিমার সঙ্গে কাজ করার জন্য। সুভাষের জন্যই অসংখ্য ভাল ছবি হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। সেইসব সিনেমার মধ্যে অন্যতম রামগোপাল ভার্মার ‘সত্য’। মহিমা দাবি করেছেন, সুভাষ ঘাই তাঁকে ভয় দেখাতেন, হুমকি দিতেন।
এমনকি বলিউডের কোনও পরিচালক যদি মহিমার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক হতেন তাহলে নাকি আগে সুভাষ ঘাইকে ফোন করে অনুমতি নিতে হতো। নিজের দাবিকে জোরালো করতে পরিচালক নাকি মিথ্যাভাষণ করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে মহিমার বিশেষ চুক্তি রয়েছে। তার শর্তসাপেক্ষে মহিমার সঙ্গে কাজ করতে হলে আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে। নইলে চুক্তির শর্তভঙ্গ হবে। শুধু মুখে বলেই থেমে থাকেননি সুভাষ ঘাই। মহিমার দাবি, তিনি ১৯৯৮ অথবা ১৯৯৯-এর কোনও এক ‘ট্রেড গাইড’ পত্রিকায় এই মর্মে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে মহিমার দাবি, তাঁর সঙ্গে কোনও দিন এই মর্মে সুভাষ ঘাইয়ের কোনও চুক্তি হয়নি।
আরও পড়ুন: Gunjan Saxena -The Kargil Girl review: কেমন অভিনয় করলেন জাহ্নবী, জেনে নিন ভিডিওর সাহায্যে
‘পরদেশ’-এর পরে তিনি অভিনয় করেন ‘দাগ দ্য ফায়ার’, ‘প্যায়ার কোই খেল নেহি’, ‘দিল ক্যায়া করে’, ‘দিওয়ানে’, ‘কুরুক্ষেত্র’, ‘খিলাড়ি ৪২০’, ‘লজ্জা’, ‘ওম জয় জগদীশ’, ‘তেরে নাম’, ‘বাগবান’, ‘এলওসি কার্গিল’-এর মতো ছবিতে। অভিনয় প্রশংসিত হলেও, কোনও বারই ফিরে আসেনি ‘পরদেশ’-এর মতো সাফল্য। জীবনের সেই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন সলমন খান, রাজকুমার সন্তোষী, সঞ্জয় দত্ত এবং ডেভিড ধবন। ইন্ডাস্ট্রির অন্য কেউ এই ঘটনায় প্রতিবাদ অবধি করেননি। দাবি মহিমার।
তাঁর বিরুদ্ধে মহিমার আনা এই অভিযোগ পড়ে তাঁর হাসি পেয়েছে, সংবাদমাধ্যমে দাবি সুভাষ ঘাইয়ের। তিনি জানিয়েছেন, ‘পরদেশ’ মুক্তির পরে মহিমার সঙ্গে সামান্য সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তিন বছরের মধ্যেই তার মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। ভাষের কথায়, “আমাদের মধ্যে ছোট একটা ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু সেসব মিটে গেছে অনেকদিন আগে। এখন আমরা ভাল বন্ধু। মেসেজেও আমাদের যোগাযোগ আছে। কয়েকদিন আগেই ও বলছিল পরদেশ রিলিজের ২৩ বছর পরও কোথাও গেলে ওকে সিনেমার বিখ্যাত গান আই লাভ মাই ইন্ডিয়া বাজিয়েই অভ্যর্থনা করা হয়। মহিমা খুবই হাসিখুশি এবং ভাল মনের মানুষ যাকে আমি বিশ্বাস করি। তবে কারও প্রশ্নের জবাবে যদি ও বলে থাকে ওকে ভয় দেখানো হয়েছিল তাহলে নিশ্চয় ঠিকই বলেছে।”
আরও পড়ুন: বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নিশানায় সড়ক ২, বিতর্কের মাঝেই একদিন পর মুক্তি পেল ট্রেলার, দেখুন…