মাদক যোগ! রিয়ার ভাই শৌভিক ও সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করল NCB

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রিয়ার চক্রবর্তীর সঙ্গে মাদকযোগের হদিশ মেলার পর থেকেই সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার তদন্তে নেমেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শুক্রবার রিয়া চক্রবর্তী ও সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে তল্লাশি চালালো এনসিবি। এদিন দুঘন্টা ধরে স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে হেফাজতে নিল এনসিবি। রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে রেইড চালানোর পর শৌভিক চক্রবর্তীকেও আটক করল এনসিবি।

এদিন সকাল ৭টা ৫ নাগাদ স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে পৌঁছায় এনসিবির চার সদস্যের একটি টিম। একই সময় রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছায় আট সদস্যের এনসিবির দুটি টিম। তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে রেইড করছে এনসিবি। ইতিমধ্যেই শৌভিক চক্রবর্তীর হাতে সমন ধরায় এনসিবি। এবং নিজেদের সঙ্গেই গাড়িতে করে শৌভিককে নিয়ে এনসিবির দফতরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সূত্রের খবর, শৌভিক চক্রবর্তীর ল্যাপটপসহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিক গ্যাজেট হেফাজতে নিয়েছে এনসিবির আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, শৌভিক চক্রবর্তী ও স্যামুয়েল মিরান্ডাকে একসঙ্গে জেরা করবে এনসিবির আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: সুশান্ত বিতর্কের মধ্যেই ডেনিম শর্টস, ক্রপ টপ এবং নীল ঠোঁটে উষ্ণতা ছড়ালেন সারা আলি খান

 

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে সুশান্ত মৃত্যু রহস্যে মাদকের বিষয়টি সামনে আসে। তার পরই তদন্ত শুরু করে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিকের সঙ্গে মাদক বিক্রেতা জাইদ ভিলাত্রার যোগযোগের বিষয়টিও জানতে পারে এনসিবি-র অফিসাররা। মাদক যোগের কারণে ইতিমধ্যেই ভিলাত্রাকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। এই ভিলাত্রা মিরান্ডা ও শৌভিককে গাঁজা সরবরাহ করত বলে জানা গিয়েছে। জেরার সময় এনসিবিকে ভিলাত্রা জানায়, বসিত পরিহার মাধ্যমেই তাঁর সঙ্গে শৌভিক ও স্যামুয়েলের যোগাযোগ হয়েছিল। এর পর বসিতকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

মোবাইল ফোনে বিভিন্ন চ্যাটে মাদকের ব্যবহার, সরবরাহের বিষয়টি উঠে এসেছিল। তার পরই শৌভিক ও স্যামুয়েল চলে আসেন এনসিবি-র সন্দেহের তালিকায়। যদিও এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়া চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন, তিনি ‘‘জীবনে কখনও তিনি মাদক নেননি।’’ সুশান্তকে গাঁজা খাওয়া থেকে বিরত করার চেষ্টা চালিয়েছেন বলেও দাবি করেছিলেন রিয়া।

১৪ জুন মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। তার পর যতদিন গিয়েছে মৃত্যু রহস্য আরও ঘণীভূত হয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও ভুরিভুরি অভিযোগ তোলেন সুশান্তের পরিবারের লোক জন। এই মামলায় অর্থ তছরূপের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর রিয়া ও তাঁর পরিবারের লোকদের জেরা করা হয়েছে। মাদক যোগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে এনসিবি।

আরও পড়ুন: ছোট পর্দায় আবারও ফিরছেন ‘নেতাজি’, তবে এবার হিন্দি ভার্সনে!

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest