খোঁজ মিলল নয়া সূত্রের? সাত ঘন্টা পর থানা থেকে বের হলেন রীহা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: প্রায় সাত ঘন্টা টানা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে বান্দ্রা থানা থেকে বের হলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ‘প্রেমিকা’ রীহা চক্রবর্তী। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সুত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রীহাকে বান্দ্রা থানায় ডেকে পাঠায় মুম্বই পুলিশ।

সাদা পোশাক, অবিন্যস্ত চুল, মুখে মাস্ক পরে বৃহস্পতিবার সকালেই রিয়া সেখানে পৌঁছতেই ক্যামেরাবন্দি হন। অন্যদিকে গতকালই অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু পরিচালক মুকেশ ছাবড়াকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।  পুলিশকে মুকেশ জানান, প্রথম থেকেই সুশান্ত অন্তর্মুখী স্বভাবের ছিলেন। যদিও প্রযোজনা সংস্থাগুলির সঙ্গে তাঁর কোনও ঝামেলা চলছিল কিনা সে ব্যাপারে মুকেশকে সুশান্ত কিছু জানাননি বলেই দাবি করেছেন পরিচালক। 

https://www.instagram.com/p/CBkbJTKB6ta/

আরও পড়ুন: ‘আমি ভাল নেই’, মৃত্যুর আগে বন্ধুকে মেসেজ সুশান্তের, তিনদিন আগেই মিটিয়ে দিয়েছিলেন কর্মচারীদের বেতন

এ দিকে সুশান্তের মৃত্যুর দিনই পুলিশ জানিয়েছিল, সুশান্ত ঘনিষ্ঠ প্রত্যেককেই থানায় ডেকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেই মতোই মঙ্গলবার প্রথমে সুশান্তের বাবা এবং পরে দু’ই দিদিকে থানায় ডাকা হয়। সুশান্তের বাবা কেকে সিংহ জানান, “ছেলেকে অনেক সময়েই মনমরা, বিষণ্ণ দেখতাম। ডিপ্রেশনে ভুগত, জানতামই না!”

রীহা এবং পরিবারের পাশাপাশি পরিবারের পাশাপাশি মুম্বই পুলিশ লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সুশান্তের আর এক কাছের বন্ধু ‘পবিত্র রিশতা’ খ্যাত মহেশ শেট্টিকেও। তাঁর থেকেই প্রথম সবাই জানতে পারেন, অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। নিয়মিত ওষুধ নিতে হত। শেষের কিছুদিন সেই ওষুধও বন্ধ করে দেন তিনি। একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুশান্তের ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও। অভিনেতার আর্থিক অবস্থা, কাজকর্ম, বলিউডে তাঁর অবস্থান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। আগামী দিনেও আবারও তাঁকে জেরা করা হতে পারে, এমনটাই খবর। মুকেশ এবং রীহার পাশাপাশি মৃত্যুর আগে গত ১০ দিনে সুশান্ত কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন, সেসব খতিয়ে দেখে, বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর।

গত ১৫ জুন, ভোর সাড়ে ছ’টায় ঘুম থেকে উঠেছিলেন সুশান্ত। এর পর সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ জুস খেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এর পর হাজার বার দরজায় কড়া নাড়া সত্ত্বেও সাড়া পাওয়া যায়নি তাঁর। সাড়া না পেয়ে ফিরে যান পরিচারক। আবার আসেন দুপুরের খাবার নিয়ে। তখনও একই ঘটনা। এবার কু-ডাক ডেকে ওঠে পরিচারকের মনে। বার বার দরজা ধাক্কানোর পরেও অভিনেতা সাড়া না দেওয়ায় তিনি ফোন করেন সুশান্তের দিদিকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এর পরেই লক ভাঙার মিস্ত্রী ডেকে খোলা হয় সুশান্তের ঘরের দরজা। দরজার ওপারে তখন শিলিং থেকে ঝুলছে সুশান্তের দেহ! 

আরও পড়ুন: আমরা শুধু স্টারদের সঙ্গে কাজ করি, নবাগত আয়ুষ্মানকে বলেছিলেন করণ জোহর

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest