ভালোবাসতেন দ্রুত গতি!মহাকাশপ্রেমী সুশান্ত চাঁদে কিনেছিলেন এক টুকরো জমি!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: মহাকাশের প্রতি ছিল অসীম কৌতূহল । মহাকাশ, ভিন গ্রহ, চাঁদ, সৌরজগত নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে যেতেন সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সপ্তম স্থানাধিকারী সুশান্ত সিং রাজপুত ।

image

বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র থেকে হয়ে উঠেছিলেন রুপোলি জগতের এক জন। অভিনয় ছাড়াও রুপোলি রেখাকে নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। চাঁদের মাটিতে জমি কিনেছিলেন তিনি।লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরার অবসরে তাঁর সময় কাটত আকাশের চাঁদ-তারাদের সঙ্গেই। চাঁদের চিরঅন্ধকার দিকটি, অর্থাৎ যে অংশটি সব সময় পৃথিবীর বিপরীত দিকে থাকে, সেই দিকে ‘মেয়ার মাস্কোভিয়েন্স’ বা ‘সি অব মাসকোভি’ অংশে জমি কিনেছিলেন সুশান্ত।

ইন্টারন্যাশনাল লুনার ল্যান্ডস রেজিস্ট্রি-র কাছ থেকে এই জমি কিনেছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা। ২০১৮-র ২৫ জুন তাঁর নামে ওই চান্দ্র ভূখণ্ড নথিভুক্ত হয়। তবে আন্তর্জাতিক চুক্তি ও নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবীর বাইরে কোনও মহাজাগতিক অংশ কারও আইনি সম্পত্তি হতে পারবে না। বলিউডে সুশান্ত-ই প্রথম নায়ক, যিনি চাঁদের জমি কিনেছেন। শাহরুখ খানকে চাঁদে এক খণ্ড জমি উপহার দিয়েছেন তাঁর অনুরাগী।

image

রাতের আকাশের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল পদার্থবিজ্ঞানের এই মেধাবী ছাত্রের। তাঁর কাছে ছিল অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ। সময় পেলেই চোখ রাখতেন তারাদের সংসারে। ভক্তরা মজা করে বলতেন, সুশান্ত নাকি ওই ভাবে চাঁদের মাটিতে নিজের জমি দেখভাল করতেন! মহার্ঘ্য টেলিস্কোপ হাতে পেয়ে খুশি হয়েছিলেন বাচ্চা ছেলের মতোই। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন, ‘‘এটা বিশ্বের আধুনিকতম টেলিস্কোপের মধ্যে অন্যতম। এ বার বাড়ি থেকেই শনিগ্রহের বলয় দেখতে পাব।’’

টেলিস্কোপে চোখ রেখে সময়-সফর করতেন সুশান্ত। শনির বলয়, বৃহস্পতির চাঁদ পেরিয়ে পাড়ি দিতেন অন্তহীন ছায়াপথ বেয়ে। পথ হারিয়ে সেই ছায়াপথ জানালা দিয়ে ঢুকে পড়ত পর্দার এম এস ধোনির ঘরেও। তাঁর ঘরের দেওয়ালে আঁকা ছিল চাঁদে মানুষের প্রথম পা রাখার ছবি। কোনও এক দেওয়ালে ছিল অন্য মহাকাশ অভিযানের ছবি। দেওয়ালের গ্রাফিতিতে ধরা দিতে চাঁদের ষোলো কলাও।

আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগের রাতে সুশান্তের ফোন ধরেননি রীহা, সম্পর্ক কি একেবারেই শেষ হয়ে গেছিল দু’জনের?

image

উড়তে ভালবাসতেন খুব । স্বপ্নের বাকেট লিস্টে সবার আগে ছিল সেই ওড়ার ইচ্ছার কথাই । লিখেছিলেন প্লেন চালানো শিখতে চান তিনি । কিনেছিলেন ফ্লাইট স্টিমুলেটর । যার মাধ্যমে পাইলটদের ওড়ার ট্রেনিং দেওয়া হয় । Boeing 737 Fixed Base Flight Simulator-টি কিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমার ৫০টি স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ এটি ।’ মহাকাশচারীর পোশাকে ঘুরে এসেছিলেন নাসা-র দফতরও। টেবিলে সাজানো থাকত মহাকাশযানের মডেল।

image

গতির নেশা ছিল পথেও। তাঁর কাছে ছিল মূল্যবান বিএমডব্লু কে ১৩০০ আর মোটরসাইকেল। পছন্দের বাহন ছিল বিলাসবহুল স্পোর্টসকার মাসেরাতি কোয়াত্রোপোর্তে এবং ল্যান্ডরোভার রেঞ্জ রোভার এসইউভি।শোনা যায়, ছবি পিছু তাঁর পারিশ্রমিক ছিল পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা। সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৯ কোটি টাকা। উপার্জনের বেশির ভাগই তিনি ব্যয় করতেন নিজের স্বপ্নছোঁয়ার প্রয়াসে।

মহাকাশচারী, পাইলট হওয়ার স্বপ্ন থেকে পথ ভুলে চলে এসেছিলেন অভিনয়ে। মায়ের মৃত্যুর পরে ছন্নছাড়া জীবনে আঁকড়ে ধরেছিলেন নতুন প্যাশনকেই। বলিউডের প্রতিযোগিতার ইঁদুরদৌড়েও ভাটা পড়ল না স্বপ্নসন্ধানে। তাই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলও ছিল বাকি তারকাদের থেকে আলাদা। কখনও সেখানে থাকত কম্পিউটার কোডিং শেখার প্রয়াস।

ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের লেন্সের ঘেরাটোপ পিছনে ফেলে রেখে সুশান্ত সিংহ রাজপুত এখন নিজেই সব আলোকবর্ষ পেরিয়ে তাঁর স্বপ্নের জগতে।

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়াতে শোকবার্তা অথচ প্রয়োজনে সুশান্তের পাশে দাঁড়াননি, করণ – আলিয়াকে ‘স্বজনপোষণকারী’ কটাক্ষ নেটিজেনদের

Gmail 3
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest