ওয়েব ডেস্ক: মাত্র ৩৪-এই চলে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। মানসিক অবসাদের জেরেই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেন বলিউডের এই তরুণ অভিনেতা। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই মনে করছে পুলিস। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে মুম্বই পুলিসের তরফে।
আরও পড়ুন : সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রয়াণে মর্মাহত টিম ইন্ডিয়া
সুশান্তের মৃত্যু সংবাদে শোকস্তব্ধ, স্তম্ভিত, হতবাক বিহারের পটনায় তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানিয়েছেন, সংবাদ চ্যানেলেই তাঁর প্রথম এই দুঃসংবাদ পান। সুশান্ত যে অবসাদে ভুগছিলেন, এমন কোনও খবর তাঁদের কাছে ছিল না। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে সুশান্ত। তাঁর রয়েছে চার দিদি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মাকে হারিয়েছিলেন সুশান্ত।
বিহারের পুর্ণিয়া জেলার ছেলে সুশান্ত বরাবরই তাঁর রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন। বলিউডের তারকা হওয়ার পরও পূর্ণিয়ার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল অবিচ্ছেদ্য। ফলে বন্যা হোক বা অন্য কিছু, নিজের জেলার মানুষের সাহায্যে সব সময় এগিয়ে যেতেন সুশান্ত। তাই প্রিয় ছেলের মৃত্য়ুর খবর শুনে শোকে স্তব্ধ পূর্ণিয়া। শোনা যাচ্ছে, শেষকৃত্যের জন্য হয়তো সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতেদেহ বিহারে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
ছেলের মৃত্যু সংবাদে খুবই ভেঙে পড়েছেন সুশান্তর বাবা। এই দুঃসংবাদ জানতে পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল নয়। সুশান্তর পরিবারের সদস্য ভব্যা বলেছেন, খবরের চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি। আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। ও ৩-৪ মাস আগে পুজোয় গ্রামে এসেছিল। কী ঘটেছে, তা আমরা জানি না। ওর বাবা মর্মাহত…অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর খবর শোনার পরই তাঁর বাবা কেকে সিং অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর টিভিতে খবর দেখে ভেঙে পড়েন প্রয়াত অভিনেতার বাবা।
অন্যদিকে সুশান্তের খবর পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়াত অভিনেতার গ্রামের বাড়িতে হাজির হতে শুরু করেন অগণিত মানুষ। সংবাদমাধ্যম যাতে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারকে এই সময় একা ছেড়ে দেয়, সেই আবেদনও জানানো হয়।
আরও পড়ুন : #GoneTooSoon: মুক্তির অপেক্ষায় ‘দিল বেচারা’? দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানা হলনা সুশান্তের