মঙ্গলবারের পর বুধবারেও হাই কোর্টে স্বস্তি পেলেন না আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্টরা। এদিন ফের বম্বে হাইকোর্টে এক দফার সওয়াল-জবাব পর্ব শেষে স্থগিত হয়ে গেল ক্রুজ ড্রাগ কাণ্ডে গ্রেফতার তিন চর্চিত অভিযুক্তের জামিনের শুনানি।
এদিন দুপুর ৩.৫০ নাগাদ শুরু হয়েছিল আরিয়ান-আরবাজদের জামিনের আবেদনের শুনানি। ডিফেন্সের তরফে নিজ পক্ষ রাখতেই দেড় ঘন্টারও বেশি সময় পার হয়। এরপরই এনসিবির কাছে বিচারপতি জানতে জান পালটা জবাবের জন্য কত সময় লাগবে তাঁর। এএসজি সটান বলেন, ‘আমার সহকর্মীরা দু-ঘন্টা নিয়েছেন, আমি কমপক্ষে ১ ঘন্টার মধ্যে চেষ্টা করব জবাব দেওয়ার’। এই উত্তর শুনে বিচারপতি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত করে দিলেন এই মামলার শুনানি। আগামিকাল দুপুর ২.৩০টে-র পর তৃতীয় দফায় এই মামলা শুনবেন বিচারপতি।
আরিয়ানের আইনজীবি মুকুল রোহাতোগি সওয়ালের সময় জানান, সাংবিধানিক দুর্বলতা থাকলে তা রিমান্ডের মাধ্যমে তার মীমাংসা করা যায় না। যদি আরিয়ান জামিন পেয়ে যান, তাও তো কেউ তদন্ত থামাবে না। তা হলে কাস্টডিতে রাখার কী যুক্তি, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরিয়ান সহ বাকি অভিযুক্তদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ দিন আদালতে প্রশ্ন উঠেছে, যে কোনও বাজেয়াপ্ত জিনিসের একটা স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তা দেওয়া হয়নি কেন? আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলে স্মারকলিপি দেওয়া আবশ্যক। সেই নিয়ম পালন করা হয়নি। এখনও যখন কোনও ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তা হলে আরিয়ানকে এতদিন কেন কাস্টডিতে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে এ দিন আদালতে প্রশ্ন তোলেন শাহরুখ পুত্রের আইনজীবি।
আরিয়ান মামলায় গ্রেফতার মনীশ রাজগারিয়া ও আভিন সাহু নামক দুই ব্যক্তি মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন। প্রমোদতরীতে মাদক সেবন কাণ্ডে প্রথমদিনই, অর্থাৎ ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। ওই প্রমোদতরীটি মুম্বইয়ে ফিরে আসার পরই মনীশ রাজগারিয়া ও আভিন সাহুকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মনীশের কাছ থেকে ২.৪ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। গতকাল আদালতের তরফে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।