Site icon The News Nest

পাভেলের নতুন সিনেমা ‘ডাক্তারকাকু’- র শুভ মহরত; হাজির প্রসেনজিৎ-ঋদ্ধি-এনা

pavel

আজকাল অনেকেই বলে থাকেন, ‘চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়, চিকিৎসা এখন ব্যবসা’। তবুও বহু ডাক্তার এখনও আছেন, যাঁরা এখনও মানুষকে ভালোবেসেই চিকিৎসা করেন। তাঁদের মধ্যে এখনও মূল্যবোধ বেঁচে আছে। তেমনই এক চিকিৎসকের গল্প বলবে পাভেলের আগামী ছবি ‘ডাক্তার কাকু’। ছবিতে এই ‘ডাক্তার কাকু’ ভূমিকায় দেখা মিলবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)এর। আর তাঁর ছেলের ভূমিকায় দেখা যাবে ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen)কে। ‘ডাক্তার কাকু’ প্রযোজনার দায়িত্বে থাকছেন এনা সাহা। ছবিতে প্রসেনজিত ও ঋদ্ধির সঙ্গে স্ক্রিনও শেয়ার করবেন টলিউডের এই তরুণ প্রযোজক।

প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়,’এটাই পাভেলের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ, তবে ওর সব ছবি আমি দেখেছি, খুব সুন্দর ছবি বানায়। ডাক্তারদের নিয়ে পৃথিবীর সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা দুটোই হয়। তবে গত দেড়-দু বছর ধরে আমরা যেমন ঈশ্বরকে ডাকি, তেমন ডাক্তারদের ডেকেছি। তাঁরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে, নিজেদের পরিবারের কথা না ভেবে আমাদের সেবায় নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। আর সেই ছবিটা শুধু ভারতবর্ষের নয়, গোটা পৃথিবীর’। বুম্বাদার কথায়, ‘আমারা কিছু কিছু ডাক্তারদের কথা জানি, প্রথমেই বলব ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের কথা। লোকে বলত তাঁকে দেখলেই মানুষ সুস্থ হয়ে যায়। ডাক্তার কাকু তাঁদের প্রতিনিধি যাঁরা শুধু ওষুধ দিয়ে নয়, যাঁরা ভালোবেসে, মন থেকে চিকিত্সা করেন। এমনই একটা চরিত্র খুব ভালোবেসে লিখেছে পাভেল। এটা আমার কাছে একটা বড় সুযোগ, ডাক্তারদের প্রতিনিধি হয়ে তাঁদের সেই যুদ্ধটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব’।

কো-স্টার ঋদ্ধি সেনকে নিয়ে অভিনেতা জানালেন, ‘যে মানুষটাকে আমি কোলে করে বড় করেছি, তবে আমি সে আমাদের দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা… ইতিমধ্যেই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে, সেই ঋদ্ধি সেন এই ছবিতে আমার ছেলের ভূমিকায় রয়েছে। ভারতের কিছু অন্যতম সেরা অভিনেতার মধ্যে ও, সেটা প্রমাণও করে দেখিয়েছে। আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ঋদ্ধির সঙ্গে কাজ করা’।

এই ছবিতে ঋদ্ধিকেও দেখা যাবে চিকিত্সকের ভূমিকায়। তবে বাবার সঙ্গে তাঁর মতাদর্শ মেলে না। পেশাগত ক্ষেত্রে বাবা-ছেলের এই মতপার্থক্য কীভাবে তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব নিয়ে আসবে? কেমনভাবেই বা সেই দূরত্ব ঘুচবে? সেই সব উঠে আসবে এই ছবিতে।

পরিচালকের কথায়,আগামী বছর জানুয়ারিতে ‘ডাক্তার কাকু’র শ্যুটিং শুরু হবে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১-এর ১লা জুলাই ‘জাতীয় চিকিত্সক দিবস’-এ  মুক্তি পাবে এই ছবি। চিকিৎসক হিসেবে বিধান চন্দ্র রায়ের নানা গল্পগাথা আজও রূপকথার মতো বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে আছে, সেই মানুষটির জন্মবার্ষিকী তথা মৃত্যুবার্ষিকী ১লা জুলাই, যা স্মরণ করে পালিত হয় ‘জাতীয় চিকিত্সক দিবস’।

Exit mobile version