‘জানি তুমি বলবে আমি হাড় বজ্জাত, লাভ নেই কানে ভালো শুনিনা’, রুদ্রনীলের কবিতায় ‘বাস্তবতা’ পাচ্ছেন অনেকে !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিজেপিতে ঝুঁকছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।জোর জল্পনা টলিপাড়া থেকে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি রুদ্রনীলের জন্মদিনে ফুল নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। আর এরপরেই তাঁর বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা আরও তীব্র হয়। রং বদলাচ্ছেন রুদ্রনীল? সোশ্যাল মিডিয়াতেও এমন প্রশ্ন তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানান মিম।

রুদ্রনীল ঘোষের কথায়, ”কেউ মিম বানাতেই পারেন। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। আমি কোনওদিন তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে যোগ দিইনি। যাঁরা এমন বলছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই কিন্তু ২০১১ থেকে একবার লাল, একবার সবুজ আবার লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়াতেও ভোট দিয়েছেন। আসলে তো মানুষ ভালো থাকতে চায়, যে কারণেই এক সরকার বদলে তাঁরা অন্য সরকার আনেন। তাঁর কী পাচ্ছেন, আর কীসে প্রতারিত হচ্ছেন, তার ভিত্তিতে তাঁরা মত দেন। সাধারণ মানুষের যদি মত বদলানোর অধিকার থাকে, তাহলে আমার থাকবে না কেন?”

আরও পড়ুন: হু-এর মানচিত্রে ভারত থেকে ফের বাদ লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর! একই ভুল কেন? কড়া অবস্থান ভারতের

তাঁর জন্মদিনে বিজেপি নেতার তরফে আসা শুভেচ্ছা প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেন, ‘আমার জন্মদিনে তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি সবাই ফুল পাঠিয়েছে।’ বিজেপির তরফে কোনও প্রস্তাব এলে তিনি কী করবেন? এ প্রশ্নে রুদ্রনীল বলেন, ‘তাহলে আমি নিশ্চয়ই ভাববো। কারণ, আমি রাজনৈতিকভাবে সচেতন। আমার বন্ধুরা মিমি, নুসরত, দেব কিংবা লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজের পেশার পাশাপাশি মানুষের হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমি সেটা সম্মান করি। আমি আমার দলকে সমর্থন করছি বলে অন্যদের ছোট করব, সেটা শিশুদের মত কাজ। আমি বরাবরই মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই। মানুষ যেভাবে পরিস্থিতি বিচার করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন, আমিও সেভাবেই নেব।’

কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, বিজেপির রূপ দেখতে কি রুদ্রনীলের বাকি রয়েছে। গোটা দেশের হাল কি তিনি জানেন না ? বিজেপি বিদ্বেষ ও হিংসা রাজনীতির খবর কি তাঁর কাছে নেই ? ‘ধান্দা’ করতে চাইলে করতেই পারেন। আম আদমি থেকে সেলেব সকলের ‘ধান্দা’ করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাকে নৈতিকতার মোরকে না জড়ালেই ভালো। কে কোন দলকে কেন সমর্থন করবে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কেউ যদি জাগ্রত বিবেকের রোল করতে করতে হঠাৎ বলে এদেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা রক্ষার সব দায় কি হিন্দুদের? তাহলে তার কথা শুনে থমকাতে হয়। গোবলয়ের গেরুয়া নেতারা ঠিক এইভাবে কথা বলে।পরে তাতে সংক্রামিত হয়েছেন বাংলার কিছু গেরুয়া নেতা।

আরও পড়ুন: ‘মমতাকে দেখতেই এখানে আসা’, সৌমিত্রর স্মৃতি প্রদর্শনীতে এসে বললেন স্ত্রী দীপা, আপ্লুত ‘দিদি’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest