#কলকাতা: টানা ৯ মাস একসঙ্গে থাকা, খাওয়া, গান-বাজনা, রেওয়াজ সবটাই একটা অভ্যেসের মতো হয়ে গিয়েছিল। সেই দিন এবার ফুরোবে। সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন নিজের জগত নিয়ে। কিন্তু নানা বিতর্ক এড়িয়ে এই ন’মাসের স্মৃতি শিক্ষা থেকে যাবে মণিকোঠায়। শুরু হবে অন্য এক পথচলা। আজ রবিবারই হবে সব গুঞ্জন আর আলোচনা-সমালোচনার অবসান। সা রে গা মা পা-এর এবারের চূড়ান্ত পর্যায়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন- সুমন মজুমদার, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, গৌরব সরকার, নোবেল, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, প্রীতম রায়।
সারেগামাপা-র ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছেছেন যে ৬ প্রতিযোগী, তাঁদের মধ্যে গৌরব ছাড়া কেউই কিন্তু কলকাতার বাসিন্দা নন, সকলেই এরাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে উঠে এসেছেন। তবে নোবেল এসেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশের ঢাকা শহর থেকে। আর সুমন, অঙ্কিতা, গৌরব, স্নিগ্ধজিৎ ও প্রীতমের বাড়ি যথাক্রমে নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, উত্তর দিনাজপুর ও নৈহাটি-তে।
দুই বাংলা জুড়েই জনপ্রিয় বাংলাদেশের নোবেল। ইতোমধ্যে প্লেব্যাক করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ভিঞ্চি দা’-তেও। এই মঞ্চে সবাই জিততেই এসেছেন। কিন্তু এটাও জানেন যেকোনও খেলাতেই জয় একজনের। কিন্তু আসল মঞ্চে জয়ী প্রত্যেকেই। প্রত্যেকে যেভাবে জনপ্রিয় হয়েছেন এই কয়েক মাসে, তা পুরস্কারেরও থেকেও অনেক বেশি। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশর সংবাদমাধ্যমগুলি দাবি করে যে, নোবেল জয়ী হচ্ছেন না। তিনি তৃতীয় হচ্ছে এমন দাবিও করা হয়। যদিও নোবেল নিজে বা সা রে গা মা পা কর্তৃপক্ষ এমন কোনও দাবির কথা স্বীকার করেনি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘বাংলা ট্রিবিউন’-এর দাবি, প্রথম হয়েছেন অঙ্কিতা। যৌথভাবে প্রথম রানারআপ গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন প্রীতম ও মাঈনুল আহসান নোবেল। তারা এও জানা যে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে, বিচারকদের রায়ে এই ফল হলেও দর্শক ভোটে সেরা নোবেল। তিনি ‘মোস্ট ভিউয়ার চয়েস’-এ বিজয়ী হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জি বাংলা সারেগামাপার ফাইনাল রাউন্ডের সম্প্রচার আগামী রবিবার হলেও এর শ্যুটিং কিন্তু অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে। গত ২৯ জুন নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই রিয়েলিটি শোয়ের ফাইনাল রাউন্ড।