দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গোপনে বিয়ে করেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পারিবারিকভাবে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম শাম্মা দেওয়ান। সম্প্রতি তাঁদের বিয়ে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, পরকীয়া নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এসব নিয়ে মুখ খুললেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে গভীর রাতে অপূর্ব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার ভক্ত, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। শাম্মা দেওয়ান আমার স্ত্রী। তাঁকে নিয়েই আমার এ যাত্রা।’ অপূর্ব ও শাম্মার বিয়েকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন, তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে ‘বড় ছেলে’খ্যাত এই অভিনেতা লিখেছেন, ‘আমার এই নতুন জীবনের শুরুতে আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করেছে। কিন্তু আমার ও শাম্মার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কিছু অমূলক মন্তব্য আমার নজরে এসেছে, যা সম্পূর্ণরূপে অসত্য ও ভিত্তিহীন।’
আরও পড়ুন: Sidharth Shukla: আলিয়ার বিপরীতে বলি-ডেবিউ, ফিরে দেখা বিগ বস ১৩-র বিজেতার কেরিয়ার
শাম্মা দেওয়ানের আদি বাড়ি ঢাকার লালমাটিয়ায়। তবে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগে শাম্মার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল বলে জানা যায়। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অপূর্বর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাম্মার। শাম্মা আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রবাসী। বিয়ের জন্য সম্প্রতি ঢাকা এসেছেন তিনি। আগের সংসারে তার একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অপূর্বর সঙ্গে প্রণয় গড়ে ওঠে শাম্মার। তারপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
অপূর্ব প্রথম বিয়ে করেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে। ২০১০ সালের সেই বিয়ে ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। সে বছরই অপূর্ব দ্বিতীয় বিয়ে করেন নাজিয়া হাসান অদিতিকে। তাঁদের একটি সন্তান আছে, নাম – আয়াশ। এ নিয়ে অপূর্ব লিখেছেন, ‘আমার ও আয়াশের মায়ের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে ২০১৯ সালে। যদিও তা গণমাধ্যমে পরে প্রকাশিত হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে আমরা এ বিষাদময় অধ্যায়ের পর সময় নিয়েছি, ভেবেছি এবং নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে আলাপেও গেছি। আমরা দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। আমরা একজন আরেকজনের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই আমাদের নিজেদের জীবনপথ বেছে নিয়েছি।’
বিয়ের খবরের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাক্তন স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি একটি পোস্ট করেন। মূলত এখান থেকেই আলোচনার শুরু। তিনি লেখেন,’অবশেষে ৪ বছরের প্রেম সফল হলো। নতুন দম্পতিকে শুভ কামনা।’ এরপর থেকেই তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অপূর্বর বিয়েকে পরকীয়ার বিয়ে বলে নানা জায়গায় সমালোচনা হতে থাকে।
অনেকেই স্ক্রিনশটের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। বিয়ের পর এসব মন্তব্যের জবাবে অপূর্ব লিখেছেন, ‘তবে আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি, আয়াশের মায়ের নতুন জীবনের সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই তাঁকে অপবাদ দিয়েছেন এই বলে যে, তিনি নাকি পরকীয়া করে বিয়ে করেছেন। আমি এটি নিশ্চিত করে বলতে চাই যে এ ধরনের তথ্য একেবারেই মিথ্যা। আমাদের সবাইকে আপনারা আপনাদের প্রার্থনা ও শুভকামনায় রাখবেন। ভালোবাসা রইল।’ নেটিজেনরা বলছেন, নাজিয়াকে নয় পরকীয়ার কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে অপূর্বকে।
ইতিমধ্যে নাজিয়ারও দ্বিতীয় বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। সূত্রমতে আরো ৮/৯ মাস আগেই এক সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে বিয়ে করেছেন নাজিয়া। এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নাজিয়া।
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় Manike Mage Hithe নিজের স্টাইলে ‘তেল গেল ফুরাইয়া…’,গেয়ে চমকে দিলেন হিরো আলম