The News Nest: দীর্ঘ অসুস্থতার পর মারা গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক অবনী জোয়ারদার।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। গত কয়েক বছর ধরেই শরীর ভাল যাচ্ছিল না অবনীবাবুর। মাঝে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বস্তুত সেই কারণেই তাঁকে মন্ত্রিসভার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।তাঁর মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য ও বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়কের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : কুৎসিত বোঝাতে কৃষ্ণাঙ্গের ছবি! বরখাস্ত বর্ধমানের সরকারি স্কুলের দুই শিক্ষিকা
এক সময়ে দুঁদে আইপিএস অফিসার ছিলেন তিনি। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন।নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে দু’বার বিধানসভা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন অবনীবাবু।
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় মেয়াদে কারা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণেই কিছুদিন তাঁকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করেও রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জ্যোতি বসুর আমলে প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারের।
২০১৬ সালে সেরিব্রাল হয় তাঁর। তারপর কিছুটা বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠেন। ২০১৮ সাল থেকে আবার শরীর খারাপ হয়। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় তাঁর ডায়ালিসিস। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রেনান ফেল করে।
শুক্রবার ভোর ৪ টে নাগাদ সল্টলেক এইচবি ব্লকে তাঁর নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ২০১১ সালে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা থেকে প্রথম বিধায়ক হন। তারপর আবার একই কেন্দ্র থেকে ২০১৬ সালে নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন তৃণমূলের বর্ষীয়ান এই নেতা। তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর কৃষ্ণনগরের বাড়িতে। তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে নবদ্বীপ মহাশ্মশানে।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁর মরদেহ কৃষ্ণনগরে জেলা পরিষদ ভবনে নিয়ে আসার কথা। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন দলীয় নেতৃত্ব ও এলাকার মানুষ। নবদ্বীপ শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন : রাজ্যে ঢুকল বর্ষা, কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন জেলায় চলবে বৃষ্টি