Site icon The News Nest

একঘেয়ে দিনযাপন! এই অবসরে মনামীর মতো শাড়ি পড়া অভ্যেস করুন বরং

manami 2020 07

সারা দিন কাজের অন্ত নেই? এই ঘরদোর পরিষ্কার তো খানিক বাদেই কাপড় ধোয়া। তার পেছনে লাইন ধরে আছে রান্নাবান্না। কর্মজীবী নারীর হোম অফিস তো আছেই। এর মধ্যে নেই কোনো সাহায্যকারীও। উপরন্তু করোনার সময়ে বাড়তি যোগ হয়েছে বারবার হাত ধোয়া, জিনিসপত্র, আসবাব, বাজার সবকিছু জীবাণুমুক্ত করা। ঠিক আছে, কিন্তু সবই তো করা যায় শাড়ি পরে। অনভ্যাসে শুরুতে মন সায় না দিলেও পরেই দেখুন আলমারিতে তুলে রাখা কনে দেখার শাড়িটি। নিজেই কেমন চমকে যাবেন নতুন নিজেকে দেখে।

ঘরের মধ্যে আটকে থাকতে থাকতে ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছেন অনেকে। এই পরিস্থিতি কাটানোর অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে রোজ নতুন কিছু শেখা। যেমন ধরুন, অনেক আধুনিকাই আছেন যাঁরা শাড়ি পরতে ভালোবাসেন, কিন্তু ম্যানেজ করতে পারেন না বলে পরা হয়ে ওঠে না। তাঁরা দারুণভাবে কাজে লাগান এই অবসর, শিখে ফেলুন শাড়ি পরার কৌশল! দেখবেন, এই ছোট্ট ছোট্ট বিষয়গুলিই দিনগুলিকে কত ইন্টারেস্টিং করে তোলে।মনামী ঘোষ যেভাবে শাড়ি ক্যারি করেন, তেমনটা চট করে আয়ত্ব করা সম্ভব নয়। তার জন্য দীর্ঘদিনের অভ্যেস লাগে। তবে চাইলেই আপনি অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারেন। মা বা শাশুড়িস্থানীয়াদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিন। একবার শাড়ি পরলে সেভাবেই দৈনিক কাজকর্ম করুন, তাতেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।

 

আপনার শরীরে কোন ধরনের শাড়ি মানায় তা বোঝার সেরা সময়ও এটাই। সাধারণত হ্যান্ডলুম সুতি বা সিল্ক-তসর সবাইকেই ভালো লাগে। জর্জেট বা শিফন যেহেতু শরীরের সঙ্গে লেপটে থাকে, তাই চেহারার খুঁতগুলিও নজরে পড়ে বেশি করে। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং পেটিকোট পরাটা মাস্ট, না হলে দেখতে খারাপ লাগে। নানা ধরনের ব্লাউজ় বা টপ দিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। আর একটা কথা, শাড়িতে অবশ্যই ফলস পাড় বসিয়ে নিন, তাতে কুঁচিটা সুন্দরভাবে পড়ে।

যাঁরা এই সময়ে বাড়ি থেকেই অফিস করছেন তাঁদের কাজের মধ্যে আবশ্যিকভাবেই চলে আসে ভিডিও কনফারেন্স কিংবা মিটিং। তার জন্যও তো পরিপাটি হতে হয়। বেছে নিতে পারেন সুতি বা শিফনের কোনো শাড়ি। খুব জমকালো না হলেই ভালো। তবে শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে হালকা সাজের কথা ভুলবেন না যেন। নিঃসন্দেহে আপনার লুক বাড়তি ইম্প্রেশন দেবে।

 

মনে রাখুন

– একেবারে অভ্যাস না থাকলে কাজের সময় বাদ দিয়ে অবসরে পরতে পারেন শাড়ি।

– শিফন, জর্জেট জাতীয় শাড়ি পরে রান্নাঘরের কাজ করবেন না।

– শাড়ি পরে ছাদে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে একটু উঁচু করে পড়ুন। খেয়াল রাখুন যেন পায়ে বেঁধে হোঁচট না খেতে হয়।

– জলের কাজ করতে হলে সুতি শাড়ি সামলে রাখুন। ভিজে গেলে শুকাতে সময় নেবে। বেশি ভিজে গেলে বদলে নেবেন। এই সময়ে ঠাণ্ডা লাগালে কিন্তু বিপদ!

 

Exit mobile version