আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিন। তারপরই দুর্গাপুজো। যদিও বর্তমান কোভিড (Covid 19) পরিস্থিতিতে পুজোর আনন্দ কিছুটা ফিকে। দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ নিয়েও অনেকেরই মনে ধন্দ রয়েছে। সেই আগের মতো শপিং মল কিংবা দোকানে দোকানে ঘুরে কেনাকাটিও করতে পারছে না উৎসব পাগল বাঙালি। কিন্তু অনলাইন কেনাকাটি তো করাই যায়। আবার ভাবুন ‘নিউ নর্মাল’ জীবনে তো আর ফ্যাশনের ট্রেন্ড বাদ দিয়ে আলুথালুভাবে বাঁচলে চলবে না। তাই মন ভাল রাখতে যতটা সম্ভব নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে। প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক চলতি বছরের পুজোর ফ্যাশনের নয়া ট্রেন্ড ঠিক কী।
আরও পড়ুন: গরমেও ফ্যাশনেবল থাকতে চান? এই কাজগুলো অবশ্যই করুন…
পুজোর সময়ও আমাদের রাজ্যে যথেষ্ট গরম থাকে। তাই হালকা এবং আরামদায়ক পোশাকই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আদর্শ। তবে চলতি বছর নতুন জামা এবং জুতো পরে পায়ে ফোসকা নিয়ে কতটা প্রতিমা দর্শনের মজা নিতে পারবে বাঙালি, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে সে সব বাদ দিন। পরিবর্তে ফ্যাশনের নয়া ট্রেন্ড মেনে কিনে ফেলুন কিংবা অনলাইনে অর্ডার দিন কাফতান (Kaftan)। আবার আপনি চাইলে নিজে অর্ডার দিয়ে তৈরি করাতে পারেন আরামদায়ক অথচ ফ্যাশনেবল এই পোশাক।
- পুরনো শাড়ি, বড় মাপের ওড়নাও আপনি কাফতান তৈরিতে কাজে লাগাতে পারেন। আপনার প্রিয় কাফতানের গলা ইংরাজি অক্ষর ভি, ইউ কিংবা গোলাকার যেমন পছন্দ তেমনই করতে পারেন।
- এছাড়াও কাফতানের ঠিক বুকের কাছে লাগাতে পারেন ছোট্ট লকেট। তাহলে দেখবেন একেবারে রূপ বদলে গিয়েছে প্রিয় পোশাকের।
- কোমরের কাছে একটি দড়ির বন্দোবস্ত করতে পারেন। শক্ত করে বাঁধলে পোশাক আঁটসাঁটও হবে আবার একটু অভিনবত্বও আসবে।
- কাফতানের নিচের দিকেও করতে পারেন নানা ডিজাইন। আপনি চাইলে এক্কেবারে লম্বা ঝুলের তৈরি করতে পারেন। আবার খুব লম্বা ঝুলের পোশাকে অভ্যস্ত না হলে হাঁটু অবধি রাখতে পারেন।
- একেবারে সাদামাটা না করতে চাইলে কাফতানের নিচে অংশটি এবড়োখেবড়ো করে কাটতে পারেন। জিগজ্যাগ কিংবা একপাশ বড় আবার একপাশ ছোটও করতে পারেন।
- তবে বেশি দেরি করবেন না। পুজো চলে এল বলে। তাই তাড়াতাড়ি কাফতান কিনুন কিংবা তৈরি করে নিন। নইলে ফ্যাশনের দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন যে।
আরও পড়ুন: পুজোয় লুক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান? সায়ন্তনীর সাজ দেখে টিপস নিতে পারেন…