Parle-G: ৮২ বছরের রেকর্ড বিক্রি, লকডাউনে নতুন প্রাণ পেল পার্লে-জি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: লকডাউনের বাজারে কপাল খুলে গেল Parle G-র। এই ক’মাসে বিক্রির রেকর্ড গড়েছে তারা।গত মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দেশজুড়ে যে পরিমাণ Parle G বিক্রি হয়েছে তা ৮০ বছর পুরনো এই ব্র্যান্ডের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। রীতিমতো রেকর্ড গড়েছে কোম্পানি।

ইকোনোমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, Parle-র প্রোডাক্টের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্তৃপক্ষ নিজে জানিয়েছে তাদের বিক্রির লাভের একটা বড় অংশ আসে Parle G থেকে। লকডাউনেও ৫ টাকাতেই কোটি কোটি মানুষের কাছে বিস্কুট পৌঁছে দিয়েছে তারা। নেটিজেনরা পারলে-জির ঘুরে দাঁড়ানোর মাইলস্টোনকে টুইটারে শেয়ার করে অনেক অভিবাদন জানিয়েছে। এমনকি টুইটারের ট্রেন্ডিংও জায়গা করে নেয় Parle G। 

পার্লের তরফে জানানো হয়েছে, গত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে তাদের যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা গত আট দশকে হয়নি। পার্লে প্রোডাক্টের বিভাগীয় প্রধান ময়ঙ্ক শাহর কথায়, “আমরা প্রায় ৫ শতাংশ (সব প্রোডাক্ট মিলিয়ে) মার্কেট শেয়ার বাড়িয়েছি। আর তার মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে পার্লে-জির বিক্রি থেকে। যা সত্যিই অভাবনীয়।” কিন্তু কীভাবে সম্ভব হল এটা?

আরও পড়ুন: মুসলিমরা ভূতে নয়, জিনে বিশ্বাসী, জেনে নিন কতটা ভয়ংকর তেনারা

সংস্থার দাবি, লকডাউনে মানুষের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। ব্র্যান্ড পছন্দ করার বিশেষ সুযোগ ছিল না। যখন যা পেয়েছেন, তাই কিনেছেন। এছাড়াও গত দেড়-দু’বছরে গ্রামীণ এলাকায় এই কোম্পানির বিস্কুটের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। যা মহামারীর আবহে ভাল ফল দেয়। লকডাউনের মধ্যে বিস্কুট সাপ্লাইয়ে কোনও ঘাটতি রাখেনি কোম্পানি। গোটা দেশে মোট ১৩০টি কারখানার মধ্যে ১২০টিই সচল ছিল লকডাউনেও। সেই কারণেই নয়া রেকর্ড গড়তে পেরেছে তারা।

ময়ঙ্ক বলছেন, “এটা সাধারণ মানুষের বিস্কুট। যারা পাউরুটি কিনতে পারেনি, তারা পার্লে-জি কিনে খিদে মিটিয়েছে। অনেকের কাছেই খাবার বলতে ঝোলায় শুধু পার্লে-জিই ছিল।” এর পাশাপাশি লকডাউনের সময় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও বিপুল পরিমাণে এই বিস্কুট কিনেছে। তাই সবমিলিয়ে লকডাউন যখন অন্যান্য কোম্পানির কাছে ‘অভিশাপে’ পরিণত হয়েছে, তখন করোনাই যেন পার্লে-জির কাছে ‘আশীর্বাদ’ হয়ে উঠল।

আরও পড়ুন: কালো সুতো পরছেন? স্টাইল করতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ করছেন না তো?

Gmail 1
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest