সৈয়দ আলি মাসুদ
The News Nest: টিমের প্রতি দিলুদার কন্ট্রিবিউশন নিয়ে কোনো কথা হবে না বস! গেরুয়া টিমে তার মত লাগাতার পারফর্মেন্স ধরে রেখেছে কজন? বাইরের থেকে এক দুজনকে মাঝে মধ্যে নিয়ে আসা হয় বটে, কিন্তু তারা তেমন কাজের নয়। দুঃখের বিষয় হল দিলুদাকে বল পাস বাড়ানোর মত প্লেয়ার নেই। তাই খেটে অস্থির হলেও তিনি গোল করতে পারছেন না।
গেরুয়া টিমটা আগে এমন ছিল না। সবাই সবাইকে কম বেশি পাস বাড়াত। সবার সযোগিতায় না হলে তাদের এমন সাফল্য আসত না। কিন্তু পরে সবাই নিজের নিজের জার্সির মাপ বাড়িয়ে নেই। প্রত্যেকেই মনে করে আর কদিন পর তার ছাতির মাপও ৫৬ ইঞ্চি হয়ে যাবে। মাঠে গোলকিপার থেকে স্ট্রাইকার সবাই বিরোধী পক্ষের নেটে বল শর্ট করতে চাইছে। কিন্তু কেউ কাকে পাস বাড়িয়ে নয়। ফলে সারা মাঠ দৌড়ে ঘেমে জার্সি ভেজানোই সার হচ্ছে।
আরও পড়ুন : পোষমানা স্বাধীনতা…
আসলে এটা কখনও কখনও হয়। মারাদোনা হতে সব ফুটবলারের সাধ হয়। বেতাজ বাদশা হতে ইচ্ছা করে। আসলে ক্যাপ্টেনকে নকল করতে গিয়েই বঙ্গ গেরুয়া টিমে এই রোগটা ধরেছে। সবাই ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেনের মত হতে চাইছে। তাদের ভাবখান হল, উনি তো একাই কাটিয়ে গোল দেন। ওকে কেউ কেউ পাস্ বাড়ায় , কিন্তু উনি কাউকে পাস্ বাড়ান না। ওর একটাই লক্ষ বিরোধী টিমের জালে শুট করা। তারপর দেশজুড়ে সমর্থকদের হাততালি। এমন প্লেয়ার হতে কার না ইচ্ছা করে।
দিলুদা আপনার আবেগ দেশি গরুর দুধের মতই খাঁটি। তাতে কোনো জল নেই। তবে সোনা আছে কিনা জানি না। যাই হোক, প্লেয়ারদের প্রতি ভরসা রাখুন। রেফারির ওপর নির্ভরশীলতা কমান। আপনার কাজ যদি রেফারি করে দেয়, তাহলে টিমে আপনার কাজ কী ? কোথাও দেখেছেন রেফারি নিজে গোল করার চেষ্টা করছে? রেফারির কাজ খেলা পরিচালনা করা। মাঠের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। সেসব তো দূর আপনার পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে উনি গোল করতে চাইছেন। আরে বাবা তুমি রেফারি। এটা ভুললে চলবে কেমন করে।
দেখুন, মাঠে যদি রেফারির সঙ্গে কথা বলতে অসুবিধা হয় , তাহলে মাঠের বাইরে বলুন। খেটে মরবেন আপনি, আর অযথা ফুটেজ খাবে অন্য লোক এটা তো হতে দিতে পারা যায় না। আপনি বঙ্গ গেরুয়া টিমে খেটে মরবেন, আর দিল্লি গেরুয়া টিমে ফুটেজ খাবে রেফারি, জাস্ট মেনে নেওয়া যায় না বস! এখনই এটা না থামালে সবাই বলবে আপনি ম্যাচ জিতেছেন রেফারির জন্য। নিজের দক্ষতায় নয়। রেফারি নিজের কাজ করে নেবে। আপনারা পড়বেন মুশকিলে। ২০২১ -কাপের আগে টিম গুছিয়ে নিন। নাহলে টিম গ্রিনের কাছে ধোপে টিকতে পারবেন না। তখন রেফারিও বাঁচাতে পারবেন না।
আরও পড়ুন : দর্শকাসনে ২২৯২টি গাছ! ব্যতিক্রমী সুর মূর্ছনায় মেতে উঠলো অপেরা হাউস