কলকাতা: সেরে উঠেছেন তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী। একাধিক বার পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁদের। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার বিকেলেই হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে তিন জনকেই।
আরও পড়ুন: জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত! ‘লক’ করা হতে পারে হাওড়া জেলা হাসপাতাল
এই তিন জন হলেন, কলকাতার বাইপাসের বাসিন্দা যিনি প্রথম করোনা আক্রান্ত বিদেশ-ফেরত তরুণ, বালিগঞ্জের দ্বিতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিদেশ-ফেরত তরুণের বাবা এবং হাবরার স্কটল্য়ান্ড-ফেরত তরুণী। আক্রান্ত হওয়ার পরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁরা। আইসোলেশনে চলছিল চিকিৎসা ও সাপোর্টিভ কেয়ার।
নির্দিষ্ট সময় পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় করোনাভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁদের তিন জনের। নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েক দিন পরে ফের পরীক্ষা করা হয়। একাধিক বার টেস্ট করেই এই স্বস্তি মিলেছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর। লেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে ছুটি পেতে পারেন তাঁরা। এর পর অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাঁদের। তার মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা না দিলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: করোনার জেরে মন্দার মুখে বিশ্ব, প্রভাব পড়বে না ভারত-চিনে, আশা রাষ্ট্রসংঘের
এদিন যে ৩ জন ছুটি পেতে পারেন তার মধ্যে রয়েছেন কলকাতার প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত আমলাপুত্র। যাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁর থেকে কারও সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি। ফলে অল্পের ওপর দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। বিলেত ফেরত ওই যুবক করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে জেনেও গোটা একটা দিন কলকাতা শহর চষে বেড়িয়েছিলেন। অবশেষে তাঁকে কার্যত ঘাড় ধরে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করান স্বাস্থ্যকর্তারা।
এছাড়া রয়েছেন কলকাতার দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত বালিগঞ্জের যুবকের বাবা। ছেলের থেকে তিনিও সংক্রমিত হন। তাঁর সংক্রমণ সেরে গিয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসকরা। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত হাবরার তরুণী। তিনিও বিলেত ফেরত। তবে তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি হন। যার ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ পায়নি। তাঁরও দ্বিতীয় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বেলেঘাটা আইডি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চেনা ওষুধেই সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন রোগীরা। করোনা দমনে ব্যবহার করা হয়েছিল হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন। এছাড়া ফুসফুসের সংক্রমণ সারাতে ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যাজিথ্রোমইসিন। বেলেঘাটা আইডির এই চিকিৎসা পদ্ধতিই গোটা রাজ্যে ব্যবহার করতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: রাস্তায় নেমে ত্রাণ বিলি! সব্যসাচীর বাড়িতে পুলিশ, লকডাউন ভেঙে বাইরে না বেরনোর সতর্কবার্তা