এখন মিশরের একটি পুরুষ পেশাদার ক্লাবের প্রথম মহিলা কোচ হিসেবে নাম লিখিয়ে আলোচনায় এসেছেন ৩৬ বছর বয়সি ফাইজা। শহরের রাস্তায় ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলে বড় হওয়া এবং পরবর্তীতে মিশর জাতীয় মিহলা দলের অধিনায়ক হিসেবে নিজের স্থান সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ফাইজা হায়দার। এবার তিনি চমক সৃষ্টি করলেন পুরুষ দলের কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ায়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিতে সাধারণত যে কোনও খেলার ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক করে রাখা হয়। এমনকী ফুটবলে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ কোচ যেমন নিয়োজিত হন না, তেমনি পুরুষদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে মহিলা কোচ নিষিদ্ধ প্রায় বলা যায়। এবার সেই পৃথকীকরণ থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে বেশ কিছু দেশ। তার মধ্যে অন্যতম হল মিশর।
আরও পড়ুন : মুখ থুবড়ে পড়ল ‘আবকি বার ছাব্বিশ পার’ স্লোগান, লাদাখে কোনোরকমে মুখ রক্ষা বিজেপির
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র জানাচ্ছে, চতুর্থ বিভাগের ক্লাব আইডিয়াল গোল্ডির কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এ সম্পর্কে সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফাইজা বলেছেন, ‘শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম তারা আমার কাছ থেকে সত্যিকার অর্থেই কিছু শিখতে চায়, নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে চায়।’
ফাইজা আরও জানিয়েছেন মিশরের মহিলা ও পুরুষ কোচদের মধ্যে কেবলমাত্র তিনিই ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃক স্বীকৃত প্রিমিয়ার স্কিলস কোচ এডুকেটর মর্যাদা অর্জন করেছেন।
ফাইজার মা খোদরা আবদাল রাহমান বলেছেন, ‘আমি তাকে ফুটবলে যেতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি, কারণ সে ফুটবলকে ভালবাসে। এরপর আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি ও সৃষ্টিকর্তার কাছে তাকে সহযোগিতা করার প্রার্থনা করেছি। এখন সে পুরো দেশের গর্ব।’
আরও পড়ুন : দশমী স্পেশাল! ঢাকের তালে কোমর দুলিয়ে নাচলেন ‘যমুনা ঢাকি’