এই শীতে শেষ পাতে থাকুক গাজরের হালুয়ায়, রয়েছে অনেক খাদ্যগুণও

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শীতের মরশুমে পিঠে-পুলি-পায়েসের সঙ্গে ডেজার্টের মেনুতে অবশ্যই জায়গা করে নেয় গাজরের হালুয়া। আজকাল অবশ্য প্রায় সারা বছরই গাজর পাওয়া যায় বাজারে। তবু শীতের দিনে একটু গাজরের হালুয়া না খেলে কী চলে। অনেকে অবশ্য ডায়েটের কথা ভেবে এমন লোভনীয় পদ একেবারেই বাদ দিয়ে দেন। তবে গাজরের হালুয়াতে রয়েছে অনেক গুণ। তাই এই শীতে একবার অন্তত চেখেই দেখুন ‘গাজর কা হালওয়া’।

উপকরণ
3 কাপ খোসা ছাড়িয়ে কুরে নেওয়া লাল দেশি গাজর
1 কাপ চিনি
½ কাপ খোয়া ক্ষীর
½ কাপ দুধ
2 টেবিলচামচ ঘি
1 টেবিলচামচ কাজুবাদাম
1 টেবিলচামচ পেস্তা
1 টেবিলচামচ আমন্ড
½ চাচামচ ছোট এলাচের গুঁড়ো

আরও পড়ুন:  শীত উদযাপন! মাখন-ক্রিমের মিলমিশে ধাবা স্টাইল ‘বাটার চিকেন’ বানিয়ে নিন বাড়িতেই…

পদ্ধতি
একটা গভীর তলদেশযুক্ত সসপ্যান নিন।
তার মধ্যে অর্ধেক ঘি দিয়ে গরম করুন।
এর মধ্যে কুরোনো গাজর দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে, আঁচ বেশি বাড়ানোর দরকার নেই।
একটু পরেই গাজর থেকে জল বের হতে আরম্ভ করবে।
একটা সময়ে আপনার সসপ্যান জলে ভরে যাবে।
আঁচ একটু বাড়িয়ে রাখুন।
জলটা এক সময়ে শুকোতে আরম্ভ করবে, তখন চিনিটা যোগ করে দিন।
গাজরটা নাড়তে থাকুন ঘন ঘন, তা না হলে কিন্তু নিচে লেগে যাবে।
মিনিট দশেক এইভাবে রান্না করলে গাজর সেদ্ধ হয়ে যাবে।
তখন ঘিটুকু দিয়ে দিন।
পাঁচ মিনিট নাড়াচাড়া করুন।
তার পর দিতে হবে দুধ। দুধটা কিন্তু আগেই ঘন করে রাখতে হবে।
কনডেন্সড মিল্কও দিতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আগে বেশি চিনি দিলে চলবে না।
দুধটা পুরো শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে এলেই আপনার হালুয়া রেডি।
এবার উপর থেকে এলাচের গুঁড়ো, বাদাম আর খোয়া ক্ষীরটা দিয়ে দিন।
পরিবেশনের আগে উপর থেকে আরও একটু ক্ষীরের গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
হালকা গরম থাকতে থাকতে খেতে খুব ভালো লাগে।

আরও পড়ুন: নতুন বছরে হিট ‘আগুন ফুচকা’! চেখে দেখবেন নাকি?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে গাজর। এতে খুব কম পরিমাণ ক্যালোরি রয়েছে। ফলে বেশি খেলেও ওজন বাড়ে না। তাছাড়া এটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। গাজরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। গাজরে‌ বেটা ক্যারোটিনের আকারে ভিটামিন এ থাকে, যা ত্বকের কোষগুলি নিয়মিত প্রতিস্থাপন করে। ফলে ত্বক ভালো থাকে। বেশ কিছু গবেষণা বলছে, গাজরে থাকা ক্যারোটিনয়েডস, ফেনোলিকস, পলিঅ্যাসিটাইলিনস, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ক্যানসার রুখতে সক্ষম।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest