আজ বিশ্ব পিৎজা দিবস! সমস্ত খাদ্যরসিককে বিশ্ব পিৎজা দিবসের শুভেচ্ছা। ইটালিয়ান খাবারগুলোর মধ্যে পিৎজা অন্যতম খাবার। হাউস পার্টি থেকে রেস্তোঁরায় খাওয়া পর্যন্ত এটি সর্বত্র খুঁজে পাবেন। আজ বিশ্ব পিৎজা দিবস উপলক্ষে আপনাদের পিৎজা সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য জানাব। যা আপনারা আজ অবধি জানেন না!
- সাধারণভাবে পিৎজার জন্মস্থান ইতালি বলে মনে করা হয়। ইতিহাস বলছে, ইতালির নেপলস অঞ্চলে একেবারে খেটে খাওয়া মানুষের খিদে মেটানোর জন্য ব্রেডের উপর সহজলভ্য সব উপাদান দিয়ে বিক্রি করা হত। তখন এই স্ট্রিট ফুডকে সমাজের উপর তলার মানুষ খুব একটা ভালো চোখে দেখতে না। ক্রমে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। পরে এটি নেপলসের প্রধান খাবার হয়ে ওঠে।
- ১৮৮৯ সালে, ইতালির রানিকে পরিবেশন করা হয় পিৎজা মার্গারিটা। এতে ব্রেডের উপর দেওয়া হয় ধবধবে সাদা মোজারেল্লা, বাসিলস, আর টমেটো। পরিবেশন এতটাই সুন্দর করে করা হয় যে রানির মন ছুঁয়ে যায়। এর পর সমগ্র ইতালিতেই এর জনপ্রিয়তা বেড়ে ওঠে। পিৎজা নেপোলিতানা, পিৎজা রোমা, সিসিলিয়ান পিৎজা বা পিৎজা মনতানারা ইতালির নিজস্ব। এখন এই পিৎজা প্রাণ ভরে রসনাতৃপ্তি করছে বিশ্বের মানুষ। ১৯৪০ সাল পর্যন্ত এই খাবার ইতালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: এই শীতে শেষ পাতে থাকুক গাজরের হালুয়ায়, রয়েছে অনেক খাদ্যগুণও
- উনিশ শতকের দিকে ইতালির পিৎজা ইতালিয়ান অভিবাসীদেরই হাত ধরে পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্রে। ধীরে ধীরে সেখানকার মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিশেষত নিউইয়র্কে। সেখানে পিৎজা পেল এক নতুন রূপ, যা এখন জগৎজুড়ে বিখ্যাত। সস, চিজ ও মাংস, সবজি দিয়ে বেক করা হতে শুরু হল।
- বিশ্ব পিৎজা দিবস, প্রতিবছর ৯ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয়। পিৎজা প্রেমীরা ২০০০ সাল থেকে এই দিনটি পালন করে আসছে।
- স্কটল্যান্ডে, আপনি ‘ডিপ-ফ্রাইড’ পিৎজা পাওয়া যায়। বেকিংয়ের পরিবর্তে পুরো পিৎজাকে ভেজে খাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাদা বা গুড়ের রসগোল্লার বদলে অতিথিদের খাওয়ান রসগোল্লার পায়েস, জেনে নিন রেসিপি…