সোমবার সন্ধ্যায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ভারত এবং চীনা ফৌজের। শহিদ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। যাঁর নামে এই উপত্যকার নামকরণ, সেই গুলাম রসুল গালওয়ানের নাতি জোর গলায় বলছেন, ভূখণ্ডটি বরাবরই ভারতের।
আরও পড়ুন : চিন নিয়ে মোদির সর্বদলীয় বৈঠকে ডাক পায় নি AAP, RJD,থাকছে TMC
কয়েক পুরুষ ধরে লাদাখে রয়েছে গালওয়ান পরিবার। সেই পরিবারেরই মহম্মদ আমিন গালওয়ান জানালেন, ওই ভূখণ্ডে চীনের অধিকার নেই। ভূখণ্ড আর নদীটি আবিষ্কার করেন তাঁরই দাদু গুলাম রসুল গালওয়ান।
১৮৭৮ সালে গুলাম রসূল গালওয়ানের জন্ম। ১২ বছর বয়স থেকেই দুর্গম পার্বত্য এলাকায় গাইডের কাজ করতেন। বিশেষত কারাকোরাম, তিব্বত, মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে ব্রিটিশদের পথ দেখাতেন। ব্রিটিশরা তখন বেশ ভয়ে ভয়েই রয়েছে, পাছে তিব্বতের পর্যন্ত এগিয়ে আসে রাশিয়া! বিস্তার করে সাম্রাজ্য! তাই খোঁজখবর, গুপ্ত খবর সংগ্রহ করতে লাদাখের পথ ধরে তিব্বতের দিকে এগোচ্ছিলেন কয়েক জন ব্রিটিশ। নেতৃত্বে ছিলেন লর্ড ডানমোর।
তুষারঝড়ে পথ হারান ব্রিটিশ দলটি। ত্রাতা হয়ে আসেন গালওয়ান। পথ খুঁজতে গিয়ে এই উপত্যকার সন্ধান পান। দেখতে পান নদীটি। তাই সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে ফেরেন ডানমোররা। গালওয়ানকে সম্মান জানাতে তাঁর নামেই রাখেন উপত্যকার নাম। নাতি মহম্মদ আমিন জানালেন, ১৯৬২ সালেও এই এলাকা নিজেদের বলে চালাতে চেয়েছিল চীন। পারেনি। ‘এটি ভারতের অংশ ছিল, রয়েছে, থাকবে । আমাদের সেনা যুদ্ধ করে ওদের হঠিয়েছে। তাঁদের স্যালুট।’
আরও পড়ুন : ভারত-চিন সীমান্ত দ্বন্দ্ব, স্থগিত রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা