নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবার পাচ্ছেন জার্মানির শান্তি পুরস্কার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

২০২০ এর শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।শান্তি পুরস্কার দিচ্ছে জার্মান পাবলিসার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স অ্যাসোসিয়েশন। ফাউন্ডেশন ফর দ্য পিস প্রাইজ অফ দ্য জার্মান বুক ট্রেড-এর অছি পরিষদ এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতির জন্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক অমর্ত্য সেনকে বেছে নিয়েছে। ফ্রাঙ্কফার্টে আগামী ১৮ অক্টোবর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হবে।

ফাউন্ডেশনের জুরি জানিয়েছে, এক পথিকৃত্ শিক্ষাবিদকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নির্বাচন করেছে, যিনি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর কাজ বর্তমানের মতোই চিরদিনের জন্যই প্রাসঙ্গিক।

আরও পড়ুন : চীনা প্রেসিডেন্ট ভেবে কোরিয়ার নেতার কুশপুতুল পোড়াল বাবুলের গড়ের বিজেপি কর্মীরা! খিল্লি দেশজুড়ে

অমর্ত্য সেনের জন্ম শান্তিনিকেতনে মাতামহ ক্ষিতিমোহন সেনের ‘পর্ণকুটীরে’। তার আদি নিবাস বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মানিকগঞ্জে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁঁর নাম রেখেছিলেন অমর্ত্য, যার অর্থ অমর বা অবিনশ্বর।

অমর্ত্য সেন একটি সম্ভ্রান্ত বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার মাতামহ আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের একজন পন্ডিত এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগী। এছাড়া, তিনি সংস্কৃত ভাষার অধ্যাপক এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্যও ছিলেন।

অমর্ত্য সেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬০-৬১ সালে ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট বার্কলেতে ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন।

১৯৭২ সালে তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স এ অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। অমর্ত্য সেনের লেখা গ্রন্থাবলী ৩০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

১৯৫২-৫৩ সালে কলেজ ইউনিয়নে বামপন্থী ধারায় আকৃষ্ট ছিলেন বলে স্বীকার করেন। গেরুয়া রাজনীতির ধর্মান্ধতা এবং উগ্র পুঁজিবাদের তিনি ঘর বিরোধী।

আরও পড়ুন : ভোজন প্রিয় বাঙালির জন্য সুখবর! ডায়মন্ডহারবার থেকে কলকাতার বাজারে ঢুকলো ইলিশ

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest