ওয়েব ডেস্ক: এই রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে আসছি – সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণা করার পরই বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়ার বন্যা বইতে শুরু করেছে।এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা বিঁধলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
সোমবার রাত ৯টা নাগাদ নরেন্দ্র মোদীর এক টুইটে শোরগোল পড়ে। টুইটে তিনি জানান, আগামী রবিবার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার কথা নিয়ে ভাবছেন তিনি। ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব থেকে বিদায় নিতে পারেন তিনি। এই নিয়ে পরে বিস্তারে জানাবেন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী টুইট করে তাঁর ইচ্ছের কথা জানানোর পরই রাহুল টুইট করেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া নয়, ঘৃণা ছাড়ুন।’ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলের সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তার পর থেকে আর নিয়মিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়াতে দেখা যায় না তাঁকে। আপাত রাজনৈতিক শৈত্যের মধ্যেই রাহুলের কটাক্ষে মোদী কী জবাব দেন এখন সেটাই দেখার।
Give up hatred, not social media accounts. pic.twitter.com/HDymHw2VrB
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 2, 2020
আরও পড়ুন: সব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন মোদী! নিজেই ইঙ্গিত দিলেন টুইটারে
বলে রাখি, বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের একজন নরেন্দ্র মোদী। গোটা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি ফলো করেন। বর্তমানে টুইটারে তাঁর প্রায় ৫.৩৩ কোটি ফলোয়ার রয়েছে। ৪৪,৭২২ জন ফলোয়ার করেছেন ফেসবুকে। ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লক্ষ। ইন্সটায় প্রায় ৩.৫ কোটি।
পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তিনি টুইট করেন, ‘প্রিয় মোদীজি, আপনার ট্রোল আর্মিকে ওই উপদেশ দিন। আপনার হয়ে ওরা সবাইকে প্রতি সেকেন্ডে গালিগালাজ করে।’
Respected Modi ji,
Earnestly wish you would give this advise to the concerted army of trolls, who abuse-intimidate-badger-threaten others every second in you name!
Sincere Regards,
Citizens of India. https://t.co/hGtf64Fyf9— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) March 2, 2020
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে আবার অন্য ভাবে দেখেছেন কংগ্রেস এমপি শশী তারুর। তিনি টুইট করে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ ঘোষণা অনেককেই চিন্তায় ফেলেছে। সারা দেশ জুড়ে এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কোনো ভূমিকা নয় তো এই ঘোষণা। নরেন্দ্র মোদী ভালোই জানেন, ভালো, ইতিবাচক এবং প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়ার শক্তিশালী মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। একে হিংসা ছড়ানোর মাধ্যম হতে হয় না।” তাঁর সহকর্মী অলকা লম্বা প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে একটা ‘বড়ো স্বস্তি’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, “বিদেশি নেতারা বিভিন্ন ভাষায় আপনার অভিনন্দন-বার্তা আর পাবেন না।”
আরও পড়ুন: ‘পারবেন না’, মোদীর টুইটের পর নেট দুনিয়ায় ছড়াছড়ি মিমের
গুজরাতের রাজনীতিবিদ জিগনেশ মেবানি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, বিজেপি সরকার যখন এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি শুরু করার পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে চাইছেন কেন? প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর পরামর্শ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে না গিয়ে বরং যারা হিংসা ছড়ায়, যারা নারী-বিদ্বেষী তাদের অ্যাকাউন্টগুলো ‘ফলো’ করা ছাড়ুন।
আবার কেউ কেউ অনুগত সৈনিকের মতো নেতাকে অনুসরণ করার পন্থা অবলম্বন করার কথা ভাবছেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের স্ত্রী অম্রুতা টুইট করে বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পথ অনুসরণ করবেন’।