ওয়েব ডেস্ক: শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন নিয়ে ধুন্ধুমার বাধল গুজরাটে। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। এই ঘটনায় ২৫ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০০ জনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: লকডাউন জের! জোমাটোর পর কোপে সুইগি, চাকরি যাচ্ছে ১১০০ কর্মীর
রাজকোট রেঞ্জের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল সন্দীপ সিং জানিয়েছেন, রাজকোট ও গোন্দালের মধ্যবর্তী জাতীয় সড়কের মাঝে শাপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকাল ৭.৩০টা নাগাদ। কয়েকজন পুলিশকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাস ভাঙচুর করা হয়। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে বাহিনী ব্যবস্থা নেয়। ২০ মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরিযায়ীদের আশ্বস্ত করা হয়, তাঁদের ট্রেনে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে।
ডিআইজি-র কথায়, ‘বিহার ও উত্তরপ্রদেশগামী তিনটি শ্রমিক ট্রেন সোমবার ছাড়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। রবিবার রাতেই মেসেজ করে তা জানিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক ভাবেন, তাঁদের ফেলেই বুঝি ট্রেন চলে যাবে। সেই আশঙ্কায় ভোরবেলায় তাঁরা স্টেশনে গিয়ে উপস্থিত হন। জমায়েত হয়ে যাওয়া কিছু সমাজবিরোধী পরিস্থিতির সুযোগ নেয়। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাঁদের মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।’
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা নিয়ে কেন্দ্র বাংলাকে নিয়ে নানা উপদেশ দিয়েছে ।বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে বাংলায় করোনা মোকাবিলা সেইভাবে হচ্ছে না। এখানে নজরদারি হচ্ছে না ঠিকভাবে। অথচ গুজরাট, ইউপি, বিহার সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। তবে তা নিয়ে কেন্দ্রের বিশেষ মাথা ব্যাথা নজরে আসেনি অনেকের। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই কেন্দ্রের। গুজরাটে একের পর এক এমন ঘটনা ঘটলেও তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে তেমন কোনও হেলদোল দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: সুপার সাইক্লোনের আকার নিচ্ছে আমফান, বাংলায় জারি কমলা সতর্কতা! বৈঠকে মোদী