নয়াদিল্লি: আগেই চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না দিল্লি হিংসার অন্যতম মুখ শাহরুখের। অবশেষে উত্তরপ্রদেশ থেকে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাকে দিল্লিতে আনা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে সীলমপুরের বাসিন্দা শাহরুখ। এর আগে পুলিশের খাতায় কখনও তাঁর নাম ওঠেনি। তবে মাদক পাচারের অভিযোগে উঠেছিল তাঁর বাবার বিরুদ্ধে, এই মুহূর্তে যিনি জামিনে মুক্ত।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল থেকে তেতে ওঠে রাজধানীর উত্তর-পূর্ব অংশ। পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইঁট ও গুলিবৃষ্টি চলতে থাকে। সেইসময়ই জাফরাবাদ-মৌজপুর এলাকায় পিস্তল হাতে এক পুলিশকর্মীর দিকে তেড়ে যান মেরুন রঙের টি-শার্ট পরা ওই যুবক।পুলিশের সামনেই আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি। পরে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন।
আরও পড়ুন: ১২ই মার্চ ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে Redmi Note 9 এবং Redmi Note 9 Pro, দাম থাকবে মধ্যবিত্তের নাগালেই
সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার সময়কার একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, ইঁটবৃষ্টি চলাকালীন রাস্তায় নেমেছেন এক পুলিশকর্মী। আচমকাই পাঁচ-ছ’জনের একটি দল তাঁর দিকে তেড়ে যায়। তাঁদের মধ্যে পিস্তল হাতে এগিয়ে আসেন শাহরুথ। প্রথমে শূন্যে গুলি ছোড়েন তিনি। তার পর ওই পুলিশকর্মীর দিকে পিস্তল তাক করেন। দীপক দহিয়া নামের ওই পুলিশকর্মী হাত তুলে নিজেকে নিরস্ত্র বলে দাবি করেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে সরিয়ে দেন শাহরুখ। তার পর ফের এক বার গুলি ছোড়েন।
ভিডিয়োটি সামনে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায় চারিদিকে। ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। তাঁর পরিচয় নিয়েও ধন্দ শুরু হয়। প্রথমে জানা যায় তাঁর নাম মহম্মদ শাহরুখ। পরে আবার শোনা যায়, তাঁর আসল নাম অনুরাগ মিশ্র। যদিও পরে জানা যায়, অনুরাগ মিশ্র পরিচয়টি ভুয়ো। সেই থেকে শাহরুখের খোঁজে তল্লাশি চলছিল। গত সপ্তাহেই সপ্তাহেই সন্দেহভাজন এক জনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।তার প্রায় এক সপ্তাহ পর শাহরুখের নাগাল পেল পুলিশ।
আরও পড়ুন: কাটল রহস্য! অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে আসার কারণ জানালেন মোদী
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই যুবকের সন্ধানে দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার তাকে উত্তরপ্রদেশের বরেলি থেকে গ্রেপ্তার করেন দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।