ওয়েব ডেস্ক: করোনাভাইরাসের পর হান্টাভাইরাসের হানা চিনে। একজন মানুষ সোমবার বাসে করে ফেরার পথে চিনে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যান। এরপর আরও ৩২ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের এই ভাইরাস আছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করে দেখার জন্য।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ছাড় জিএসটিতে, টাকা তোলা যাবে যে কোনও এটিএম থেকে
এই মৃত্যুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে কী ফের কোনও মারণ ভাইরাস চলে এল! এবার দেখে নেওয়া যায় এই হান্টাভাইরাস কীভাবে ছড়ায়। ইঁদুরের মতো রডেন্টের সঙ্গে সংস্পর্শে এলে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। Centre for Disease Control and Prevention- জানিয়েছে যে বাড়ির চারিপাশে ইঁদুর প্রভৃতি বেশি ঘোরাঘুরি করলে সেখান থেকে হান্টাভাইরাস ছড়াতে পারে। সুস্থ মানুষকে নিমেষে কাবু করার ক্ষমতা রাখে এই ভাইরাস।
তবে মানুষ থেকে মানুষে এটি ছড়ায় না। তবে রডেন্টের মল, মূত্র বা বাসার সংস্পর্শে আসার পর আপনি যদি নিজের হাত, নাক বা মুখ ধরেন, তাহলে হান্টাভাইরাস হতে পারে।এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে একাধিক জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়।এর ফলে জ্বর, পালমোনারি সিনড্রোম (শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা) দেখা দিতে পারে। মূলত আক্রান্ত ইঁদুরের প্রস্রাব, মুখ, কামড় ও লালার সংস্পর্শে এলে মানুষের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ‘বাবুদের অসুখ’ বলে করোনাকে হ্যাটা করবেন না! আক্রান্ত হতে পারে ৩০ কোটি
লক্ষণ কী কী?
হানটাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্লান্তি, জ্বর, মাসল পেইন, মাথা যন্ত্রণা, চোখে ঝাপসা দেখা ও পেটের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসা না হলে কাশি, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার যেখানে আক্রান্তদের দুই-তিন শতাংশের মতো, সেখানে হানটাভাইরাসে মৃত্যুহার ৩৮%!