কান পরিষ্কার করতে ‘কটন বাড’ ব্যবহার করেন? জানুন এর বিপদ

অনেকসময় কটন বাডের তুলোর খানিকটা অংশ কানে থেকে গিয়ে বিপদ বাড়ায়।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

 কান আর কটন বাড। কানেকশন গভীর। সুযোগ পেলেই কান খোঁচানোএ অভ্যেস অনেকেরই আছে। ভাবছেন হয়তএক ঢিলে দুই পাখি মারা হচ্ছে! কান সাফসুতরো থাকছেআরামও হচ্ছে। কিন্তু নাহ। বরং বাড়ছে বিপদ।  

সিংহভাগ লোকের মত,  কটন বাডই কান পরিষ্কারের সবচেয়ে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য উপায়। তবে গবেষণা বলছে, এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। কানের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারদের কাছে যে লম্বা লাইন পড়ে তার মধ্যে অনেকেরই সমস্যার কারণ কটন বাড ব্যবহার। কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানের ভিতরের ময়লা আরও বেশি ভিতরে ঢুকে যায়। কানের পর্দার আরও কাছে পৌছে যায় ময়লা। কানের মধ্যে থেকে যতটা না ময়লা বের হয়, তার চেয়ে বেশি ভিতরেই থেকে যায়।

আরও পড়ুন: মাথা ব্যথায় আর নয় পেইন কিলার, মুক্তি দেবে আপনার রান্নাঘরে থাকা এইসব মসলা

কানে ক্ষত সৃষ্টির আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।  আঘাত লাগলে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। কানের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শোনার ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নষ্ট হয়ে যেতে পারে শরীরের ভারসাম্য। কটন বাড ব্যবহার সাময়িক আরাম দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনাই প্রবল। কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। বহুদিন ধরে এটি ব্যবহার করলে ছত্রাক সংক্রমণও হতে পারে। অহেতুক কটন বাড নিয়ে কান খোঁচাখুঁচি বিপজ্জ্বনক।

কানের ভিতরে চামড়ার নানা সমস্যা ও ব্যথার কারণও কটন বাড। অনেকসময় কটন বাডের তুলোর খানিকটা অংশ কানে থেকে গিয়ে বিপদ বাড়ায়। কানের ময়লা সাধারণত বিশেষ কারণ ছাড়া আলাদাভাবে পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রাকৃতিকভাবেই কানের ময়লা বেরিয়ে আসে। প্রয়োজন হলে কান পরিষ্কারের জন্য ডাক্তারের কাছেই যাওয়া উচিত। কানের সুস্থতার জন্য তাই এখনই ছাড়ুন কটন বাড। নয়ত বিপদে পা বাড়াচ্ছেন আপনি নিজেই।

আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধে অসামান্য ভূমিকা রাখে ডাবের জল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest