গরম জলে বেটাডিন মিশিয়ে আধ মিনিট গার্গল করলেই প্রায় নির্মূল করে দেওয়া যায় করোনার জীবাণুকে! কোভিড নিরাময় নিয়ে নয়া এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনএসএস মেডিক্যাল স্কুলের তরফে বলা হচ্ছে, বেটাডিন অ্যান্টিসেপটিক কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রুখতে কার্যকর। ৮ জুলাই এ বিষয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যান্ড থেরাপি’ জার্নালে।
জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে (infection against germs) চিকিত্সায় টপিক্যাল অ্যান্টিসেপটিক পণ্য হিসেবে বিটাডিন মূলত ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে পোভিডোন-আয়োডিন উপাদান রয়েছে। এই সিলিউশন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস-সহ মধ্য প্রাচ্যের রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (MERS), সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (SARS) বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বলে সিঙ্গাপুরের গবেষকেরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩,৫০০ টাকায় চোদ্দো দিন, ‘সেফ হোম’ চিকিৎসা মিলছে কলকাতায়
বিশেষ সমীক্ষা চালিয়ে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, বিটাডিনের মতো অ্যান্টিসেপটিক পণ্যগুলি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ৯৯.৯% করোনভাইরাস ধ্বংস করতে পারে। বিটাডিনের এই পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে সলিউশন (১০% PVP-I), স্কিন ক্লিনজার (৭.৫% PVP-I), গার্গেল এবং মাউথওয়াশ (১.০% PVP-I) এবং গলার স্প্রে (০.৪৫% PVP-I)।
যে কারণে বিভিন্ন হাসপাতালেও এখন এই ওষুধটির ব্যবহার শুরু হয়েছে । বিশেষত চিকিত্সক-সহ সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের বিটাডিন ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। সংক্রমণের ঝুঁকি যাঁদের মধ্যে প্রবল। মুন্ডিফার্মা সিইও রমন সিং বলেন, সিঙ্গাপুরের গবেষণায় আমাদের মতামতটি নিশ্চিত ভাবে উঠে এসেছে। পিপিই-সহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক চিকিত্সা বিকল্পগুলির সঙ্গে বিটাডিন অ্যান্টিসেপটিক পণ্যগুলি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা শুধু নন, জাপান সরকারও কিন্তু বিশ্বাস করে বিটাডিন কোভিডে কার্যকরী। জাপানের গভর্নর ওসাকা বিটাডিনকে সারস-সিওভি-২’এর ওষুধ হিসাবে অনেক আগেই প্রচার শুরু করেন। জাপানি গবেষকেরা ৪১ কোভিড রোগীর উপর বিটাডিন প্রয়োগ করে দেখেন। এঁদের প্রত্যেকের হালকা উপসর্গ ছিল। জলে পোভিডোন-আয়োডিন (এর মধ্যে বিটাডিন রয়েছে) মিশিয়ে, আক্রান্তদের দিনে চার বার করে গার্গল করানো হয়। দেখা যায় আশাতীত ফল মিলেছে।
আরও পড়ুন: করোনা-কালে ঘরে রাখুন ডিজিটাল অক্সিমিটার, এই ১০টির মধ্যে থেকে একটি বেছে নিতে পারেন