আপনি কি আপনার বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত? সন্তানের ক্ষেত্রে বাবার স্বাস্থ্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নয়। বিশেষত বাবা যদি ডায়াবেটিক রোগী (diabetic patient) হন তাহলে তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ডায়াবিটিস ডায়েটে (diabetes diet) শর্করা দূরে সরিয়ে রাখতে গিয়ে ভাতের পরিমাণ, চিনি, আলু বা কন্দজাতীয় খাবার যেমন কমে যায়, তেমনই কিছু ফলও বাদ পড়ে যায় খাদ্যতালিকা থেকে, ব্লাড সুগারের কারণে। তবে ডায়াবিটিস (diabetes) হলেই আগে কী কী বাদ দেবেন ভাববেন না। বরং ভাবুন, কী কী খেতে পারবেন। সেই তালিকা আগে তৈরি করে নিন। আজ, পিতৃ দিবস উপলক্ষে, বাবাকে ভালো রাখতে কী করবেন জানুন…
প্রাতরাশে কী খাওয়া যায়?
রোগীর সুগার কতটা বেশি, ইনসুলিন নেন কি না, বয়স কত, অন্য কোনও অসুখ আছে কি না… এই সব কিছু দেখে তবে রোগীর ডায়েট তৈরি করা হয়। তবে ডায়াবেটিক রোগীরা সাধারণত কিছু ধরনের খাবার খেতেই পারেন। যেমন ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি, ডালিয়ার রুটি খাওয়া যায়। ওটস পরিজ, ওটসের প্যানকেক, সুজির দোসা বা উপমা খেতে পারেন। তবে অনেকে কর্নফ্লেকস খান, সেটি কিন্তু খাবেন না। কর্নফ্লেকসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হাই। তার চেয়ে বরং দুটো হাতে গড়া রুটি কিংবা ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন। রাগি বা বাজরার রুটি খেতে পারেন। এতে ফাইবারও পাবেন বেশি।
ফল এবং শাকসবজি খেলে ভালো
ফল এবং শাকসবজি হ’ল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল, ভিটামিন, খনিজ, ক্যারোটিনয়েড এবং ফাইবারের উত্স। এগুলি কেবল রোগ বাড়তে বাধা দেয় না, তবে আপনার স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেবেন। মনে রাখবেন, আপনি যদি সুস্থ থাকেন তবে আপনার পরিবারও স্বাস্থ্যকর। তাই আপনার ডায়েটে ফল এবং সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা
একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে পুরুষদের মধ্যে হাই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ’ল ডায়াবিটিসের ঝুঁকি। এছাড়াও, কখনও কখনও এর ঘাটতিও পুরুষদের মধ্যে ডায়াবিটিসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সাধারণ হরমোনের মাত্রা বজায় রাখতে ভিটামিন ডি এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: World Bicycle Day 2021: সাইকেল চালালে সারবে যেসব কঠিন রোগ
কী ধরনের ফল খাওয়া যায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন ফলের ব্যাপারে অতটা বিধিনিষেধ করা হয় না। কোনও ফলই একেবারে খাবেন না, তা নয়। বরং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমের মরসুমে একটু আমও খাবেন। তবে অবশ্যই কার ব্লাডসুগার কতটা, তার উপরে নির্ভর করবে এই পরিমাণ। ব্যক্তিবিশেষে মাপ বদলে যাবে। আপেল, পেয়ারা খেতে পারেন। মুসাম্বি, কমলালেবু, কালোজাম, জামরুল জাতীয় ফল খেতে পারেন। তবে যা-ই খাবেন, চিকিৎসক ও ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
শরীর চর্চা করা দরকার
এর সঙ্গে দরকার ব্যায়াম। রোজ হাঁটাচলা করে শরীর সচল রাখতে হবে। হাঁটুর সমস্যা বা অন্য কোনও কারণে বেশি হাঁটা সম্ভব না হলে ডায়েটের দিকে নজর দিন। রোজ নির্দিষ্ট সময়ে খান। ডিনারও ন’টার মধ্যে শেষ করে ফেলতে পারলে ভালো। ডিনার সেরে একটু হাঁটাচলা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় সর্দি-কাশি সারাবে পেঁয়াজ! জেনে নিন কিভাবে…