শুধু পিঠে-পুলি, পায়েস বা রসগোল্লা বানানোর জন্যই নয়, গুড়ের রয়েছে হাজারও রকম উপকারিতা। গুড় শরীর সুস্থ রাখে,রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। গরমকালে শসা বা তরমুজের মতো শীতকালে গুড় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয় গুড়ে রয়েছে আরও একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। দেখে নিন..
- সন্তান প্রসবের পর গুড় খেলে প্রসূতি নানান রোগের হাত থেকে মুক্তি পান। শরীরে মিনারেলের অভাবকে দূর করে গুড়। প্রসবের ৪০ দিনের মধ্যে শরীরের সমস্ত জমাট বাঁধা রক্তকে স্বাভাবিক করে তোলে।
- গুড় শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে ও মেটাবলিজম ঠিক রাখে। রোজ এক গ্লাস জল বা দুধের সঙ্গে গুড় খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। এর ফলে গ্যাস হয় না। যাঁরা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা রোজ মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশাহারের পর গুড় খেলে সুফল পেতে পারেন।
- গুড় আয়রনের প্রধান উৎস। তাই অ্যানিমিয়ার রোগীদের জন্য একটি উপকারী। বিশেষত মহিলাদের জন্য এটি অধিক উপযোগী।
- গুড় রক্তকে টক্সিন মুক্ত করে, যার ফলে ত্বকের নানান সমস্যা যেমন, পিম্পল ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনকি মুখের দাগ-ছোপও দূর হয়।
- গুড় গরম প্রকৃতির হওয়ায় শীতকালে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। আবার সর্দি, কাশি থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। সর্দির সময় কাঁচা গুড় খেতে না-চাইলে চা অথবা লাড্ডুর সঙ্গে এটি খেতে পারেন।
- ক্লান্তি ও শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করলে গুড় এনার্জির সঞ্চার করে। গুড় সহজপাচ্য হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায় না। তাই সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্তি অনুভব করলে গুড় খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: অম্বলে ভুগছেন? মুঠো মুঠো ওষুধে কাজ হচ্ছে না ? ভেষজ উপায়ে নিরাময় করুন রোগ
- শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে গুড়। এতে অ্যান্টি এলার্জিক উপাদান থাকে, তাই অ্যাস্থমার রোগীদের জন্য এটি উপকারী।
- গুড়ের সঙ্গে আদা খেলে শীতকালে গাটের ব্যথা থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়।
- ভাতের সঙ্গে গুড় খেলে বসে যাওয়া গলা খুলে যায় ও স্বাভাবিক স্বর ফিরে আসে।
- গুড় ও কালো তিলের লাড্ডু শীতকালে অ্যাস্থমার ভয় অনেকটা কমিয়ে দেয়।
- সর্দি জমে গেলে গলানো গুড়ের পাপড় বানিয়ে খান।
- আবার ঘিয়ের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে কানের ব্যথা সেড়ে ওঠে।
- খাবার পর গুড় খেলে পেটে গ্যাস হয় না।
- পাঁচ গ্রাম সৌঠ ও ১০ গ্রাম গুড় খেলে জন্ডিস রোগীরা উপকার পেতে পারেন।
- গুড়ের হালুয়া স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে।
- ৫ গ্রাম গুড় ও সরষের তেল এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শ্বাস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুড় সাহায্য করে। বিশেষত, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রোজ গুড় খাওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাবধান! এই ৯ খাবার বাসি খেলেই শরীরে হবে মারাত্মক ক্ষতি…