Site icon The News Nest

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? কাজে লাগান আমপাতার এই আশ্চর্য টোটকা

daibetes

The News Nest: সবার কাছেই ডায়াবেটিস অতি পরিচিত একটি রোগের নাম। ছোট থেকে বড়, নারী কিংবা পুরুষ উভয়ই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। তাছাড়া বংশগত কারণেও এই রোগ হয়ে থাকে। স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তে বেশি শর্করা বা সুগার থাকলে তাকে বলা হয় ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা সংক্ষেপে ডায়াবেটিস। বাংলায় এই রোগকেই মধুমেহ বলা হয়। তবে ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় অযোগ্য হলেও একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

একটু সাবধান থাকলে ও রুটিন মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগী শারীরিকভাবে ভালো থাকে। ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজি নামক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৪০ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৩০ সালে এই সংখ্যাটি ৫১ কোটি ১০ লাখে পৌঁছাবে। রোগটি থেকে মুক্তি পেতে চীনের প্রাচীন এক চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।

আরও পড়ুন: পরখ করতে শেষ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু অক্সফোর্ডে, তৈরি করোনা প্রতিষেধক

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নানা রকম ওষুধ খেয়ে থাকেন রোগীরা। তবে জানলে অবাক হবেন, আমপাতা খেয়েও জাদুর মতোই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব! চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-

কয়েক শতাব্দী ধরে ডায়াবেটিস ও অ্যাজমা রোগের চিকিৎসায় আমপাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই সবুজ পাতায় এমন কিছু ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।

আমপাতা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ও গ্লুকোজ প্রবাহ বৃদ্ধি এবং রক্তে সুগারের পরিমাণ স্থিতিশীল রাখে। আম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্যাকটিন, ভিটামিন-সি ও ফাইবার, যা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

ঘন ঘন প্রস্রাব বন্ধ, ওজন কমাতে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমপাতা খুবই কার্যকর।

সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমপাতার টোটকা:

প্রথমে ১০ থেকে ১৫টি আমপাতা ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে ঢুবো জলে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। পাতাগুলি ভাল করে সেদ্ধ হয়ে গেলে জল সমেত সেগুলিকে সারা রাত (৮-৯ ঘণ্টা) রেখে দিন। পর দিন সকালে খালি পেটে ওই জল ভাল করে ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। সপ্তাহ খানেক এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে আপনাকে যদি নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে হয় বা ইনসুলিন ইনজেক্সন নিতে হয়, সে ক্ষেত্রে এই টোটকা কাজে না লাগানোই ভাল। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন: আচমকা ঠান্ডা লেগেছে? জেনে নিন ঘরোয়া উপশম

Exit mobile version