কয়েক দিন প্রচণ্ড গরমের পরেই হঠাৎ বৃষ্টি। সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। আর তাতেই হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বাড়ছে। এই সময় রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে রাখা খুবই দরকারি। রোজ তো চা বা কফি খান। তা হলে তার সঙ্গে এক বিশেষ মশলা মিশিয়ে নিলেই এমন এক পানীয় তৈরি হয়ে যাবে, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকটা বাড়িয়ে দেবে। এই মশলাটি আর কিছুই নয়— দারুচিনি।
কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়? লাগবে এক কাপ গরম জল, এক চামচ মধু আর এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ দারুচিনি গুঁড়ো। আর দরকার মতো চা পাতা।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চা বানিয়ে নিন। তার পরে অন্য দু’টি উপাদান তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন, এই পানীয় সকালে পান করা সবচেয়ে কাজের। দিনের মাথায় খুব বেশি হলে দু’বার খেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকটাই বাড়বে। কফিতেও মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে চা-এর সঙ্গে মেশালে কাজ হবে বেশি।
আরও পড়ুন: Immunity Booster: শুধু আমলকি -মধুর এই মিশ্রণ বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা!
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু ধ্বংস করতে কাজে এসেছিল দারুচিনি –
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর সময়ে যাঁরা দারুচিনির কারখানায় কাজ করতেন, তাঁদের প্রায় কেউই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। অর্থাৎ খাওয়া তো দূরস্ত, দারুচিনির সংস্পর্শে থাকাটাও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সেই সময় স্প্যানিশ ফ্লু নির্মূল করার অন্যতম সেরা ওষুধ ছিল দারুচিনির গুঁড়ো। কেউ কেউ আবার দুধে সামান্য পরিমাণ দারুচিনি তেল ব্যবহার করেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই রিপোর্টে এ-ও বলা হয়েছে যে, এইচআইভি, অ্যাডিনোভাইরাস ও হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধেও দারুচিনি ব্যাপক ভাবে কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
শরীর ভালো রাখতে কী ভাবে সাহায্য করে দারুচিনি –
দারুচিনি আসলে শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শারীরিক প্রতিরক্ষার জন্য প্রদাহ গুরুত্বপূর্ণ হলেও প্রয়োজনাতিরিক্ত প্রদাহে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আর সেটার পরিমাণই মূলত কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। এই দারুচিনির মধ্যেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল ও প্রোঅ্যান্থোসায়ানাইডিন, যা কোনও ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও দারুচিনি মেদ ঝরাতেও কাজে আসে। শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং হার্টের রোগ নির্মূল করতেও খুবই সহায়ক দারুচিনি। দারুচিনির অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট, কিডনির সমস্যা -ডায়াবেটিস, সব নিয়ন্ত্রণ হবে আম পাতার গুণে!