শীতে মটরশুঁটি থাকবে না পাতে, তা আবার হয় নাকি! তাই মাংস থেকে শুরু করে ডাল, বাঙালির নানা রান্নাতেই কমবেশি এর যাতায়াত আছে। মটরশুঁটির কচুরিও শীতের অন্যতম খাবার। ইউরিক অ্যাসিডের চোখরাঙানি না থাকলে এই সবজি থাকতেই পারে আপনার পাতে।
পুষ্টিবিদ মতে, ‘নিরামিষাশী হোন বা আমিষাশী, এই সব্জি ব্যবহার করা যায় সব রকমের পদে। যে কোনও স্যালাডেও এর ব্যবহার রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে কম যায় না মটরশুঁটি। ২ টুকরো মাছ বা তিন টুকরো মাংসের থেকে যে প্রোটিনের জোগান পাওয়া যায়, সেই প্রোটিনই মেলে এক বাটি কড়াইশুঁটি থেকে’। শীতে মটরশুঁটি যেমন প্রোটিনের চাহিদা যেমন মেটাবে, তেমনই শরীরের আরও নানা উপকারেই তা লাগে। রইল সে সবের হদিশ।
আরও পড়ুন: দিনের বেলায় ঘুমের অভ্যাস আছে? জেনে নিন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না খারাপ
- এক কাপ মটরশুঁটিতে একশোর কম ক্যালরি আছে। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ এবং অনেক ধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে এতে। সুস্থ থাকার জন্য এসব পুষ্টি উপাদান জরুরি।
- মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল আছে। মেক্সিকান গবেষকরা বলছেন, কেউ যদি প্রতিদিন ২ মিলিগ্রাম পলিফেলনসমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে তার পাকস্থলি ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আর এক কাপ মটরশুঁটিতে অন্তত ১০ মিলিগ্রাম পলিফেলন থাকে। তাই এটি পাকস্থলির ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে দারুণ কার্যকর।
- প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রাণশক্তি বাড়ায়।
- মটরশুঁটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। একারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বেশ উপকারী
- ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ এবং বি৬ এর উৎস মটরশুঁটি শরীরের হোমোসাইস্টাইন লেভেল কমায়। একারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ।
- প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় মটরশুঁটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে।
- এক কাপ মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এতে হাড় মজবুত হয়।
- শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও দারুণ ভূমিকা রাখে মটরশুঁটি।
- মটরশুঁটিতে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের ক্ষেত্রে অ্যান্টি এজিংয়ের কাজ করে। অর্থাৎ ত্বক টানটান রাখে এবং জেল্লাদার করে তোলে। এমনকী, ত্বকে বলিরেখাও পড়তে দেয় না।
আরও পড়ুন: সকালে উঠে ঝিমুনি ভাব, সারাদিন ক্লান্তি! চনমনে থাকতে মেনে চলুন এই সব টিপস