ম্যাগি-নেসক্যাফে ‘স্বাস্থ্যকর’ নয়! স্পষ্ট স্বীকারোক্তি নেসলের

সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই নিয়ে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বহু সামগ্রীতেই চিনি ও সোডিয়ামের ব্যবহার কমানো হয়েছে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সম্প্রতি আভ্যন্তরীন সমীক্ষা চালিয়ে সংস্থা খোদ জানিয়েছে ম্যাগি (Maggi), কিটক্যাট (KitKat), নেসক্যাফের (Nescafe) মতো জনপ্রিয় পণ্যগুলি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের উৎপাদিত খাদ্য ও পানীয় প্রচলিত স্বাস্থ্যকর খাদ্যের তালিকায় পড়ে না। পাশাপাশি এও স্বীকার করে নিয়েছে যে খাদ্যপণ্যগুলিতে পরিবর্তন আনা হলেও তা কোনও মতেই স্বাস্থ্যকর বলতে যে সংজ্ঞা বোঝায়, সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। ফের একবার পণ্যের গুণমান নিয়ে প্রশ্নের মুখে নেসলে সংস্থা।

আমেরিকার ব্যবসায়িক দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের শুরুর দিকে শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে পোষ্যের খাবার ও বিশেষ পুষ্টিকর খাদ্য বাদে কেবলমাত্র ৩৭ শতাংশ পণ্য অস্ট্রেলিয়ার স্টার রেটিং সিস্টেমে ৩.৫ বা তার বেশি রেটিং অর্জন করেছে। রেটিং সিস্টেমটি ৫ স্টার স্কেলে খাবারের মান নির্ধারণ করে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলির পণ্যের ক্ষেত্রে একে মানদণ্ড হিসাবে মানা হয়।

নেসলের সামগ্রিক খাবার ও পানীয়ের মধ্যে খাঁটি কফি ব্যতীত ৭০ শতাংশ পণ্য ও ৯০ শতাংশ পানীয় নির্দিষ্ট মানে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে জল ও দুগ্ধজাত পণ্যগুলি কিছুটা ভাল জায়গায় রয়েছে। জাতীয় পণ্যের নির্ধারিত মানের শর্ত ৮২ শতাংশ পূরণ করে জল। আর দুগ্ধ জাতীয় পণ্য পূরণ করে ৬০ শতাংশ শর্ত।

আরও পড়ুন: নাকের লোম ওঠানোর সময় খুবই সাবধান, পরিণতি হতে পারে মারাত্মক

তবে এই বিশ্লেষণে পোষ্যের খাবার, কফি ও নবজাতকের খাবারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নেসলের মোট মুনাফার অর্ধেকের বেশিই আসে এই পণ্যগুলি থেকে। এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই বিশ্বখ্যাত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নেসলে বিবৃতিতে জানিয়েছে যে পণ্যে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কৌশলে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। পণ্যগুলি মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সহায়তা করেছে কি না, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই নিয়ে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বহু সামগ্রীতেই চিনি ও সোডিয়ামের ব্যবহার কমানো হয়েছে। গত ৭ বছরে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ চিনি ও সোডিয়ামের ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ম্যাগির গুণমান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার ফের সেই বিতর্ক তৈরি হল।

আরও পড়ুন: যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে ডিমের কুসম থেকে তৈরি তেল! উপকারিতা জানলে অবাক হবেন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest