Black fungus: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, এড়াতে কী করা উচিত? নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের

পশ্চিমবঙ্গ এক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) আক্রান্তর মৃত্যু হল। সব মিলিয়ে আরও চারজন আক্রান্ত। পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল প্রশাসন তাই রীতমতো আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পশ্চিমবঙ্গ এক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) আক্রান্তর মৃত্যু হল। সব মিলিয়ে আরও চারজন আক্রান্ত। পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল প্রশাসন তাই রীতমতো আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে। কালই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে এক‌টি সরকারি নির্দেশিকা বা গাইডলাইন তৈরি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

আপাত অপরিচিত এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ উপসর্গ, তার চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ প্রতিবাদ নিয়ে অবিলম্বে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হচ্ছে। প্রত্যেক জেলার সি এম ও এইচ দের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে,যদি এই রোগের কোনো খবর পাওয়া যায়,তবে জরুরি ভিত্তিতে তা স্বাস্থ্য ভবনে জানাতে হব।

আরও পড়ুন : ‘আপনাকে ছাড়া বাঁচব না দিদি’, মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ সোনালি গুহর

চিকিৎসকরা বলছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস ফাঙ্গাসটি মাটিতে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলেই আক্রান্ত হতে পারেন অনেকে। অনেকের ক্ষেত্রে এতে ব্লাডপ্রেশার নেমে গিয়ে বিপদ বাড়ে। কারও আবার সমস্যা শুরু হয় চোখের। দেখে নেওয়া যাক কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন-

কী ভাবে প্রতিরোধ

ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে নিয়ম করে। বিশেষত ধুলো রয়েছে এমন জায়গায় যাওয়ার সময়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কোথাও বেরোলে, বাগানের কাজ করলে হাতে গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতেই হবে। খোলা জায়গায় ফল, রুটি অর্থাৎ ছত্রাক জমতে পারে এমন কিছু রাখা যাবে না।

কী ভাবে উপসর্গ চিনব

সাইনাসের ব্যথা বাড়বে এই সমস্যায়। সর্দির সঙ্গে রক্তপাত হতে পারে। মুখমণ্ডলের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, ও কালো ছোপ দেখা যেতে পারে। দাঁতে ব্য়থা হবে। জ্বর আসতে পারে। রক্ত জমাট বাধার সমস্যাতেও ভুগছেন অনেকে। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। রক্তবমি, মানসিক অস্থিরতা ও চোখ ফোলার সমস্য়াও হতে পারে।

কী করণীয়

শর্করার মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ, বুঝে ব্য়বহার করতে হবে স্টেরয়েড ও অ্যান্টিবায়োটিক। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করা যাবে না।

স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, এই সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক যথাযথভাবে পড়তে হবে। বিশেষ করে ধুলোবালিময় এলাকা বা নির্মাণস্থানে গেলে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। বাগানে বা মাটি নিয়ে কাজ করলে জুতো, লম্বা ঝুলের ট্রাউজার, ফুলহাতা জামা, গ্লাভস পরতে হবে। স্ক্রাবার দিয়ে গা ঘষে স্নান করতে হবে। সাবান ব্যবহার করতে হবে। অক্সিজেন দিতে হলে হিউমিডিফায়ারে পরিশুদ্ধ জল ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন : করোনা রোগীদের জন্য শতবর্ষের প্রথা ভেঙে ভারত সেবাশ্রম সংঘে প্রথম ঢুকল মাছ, মাংস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest