Site icon The News Nest

পরখ করতে শেষ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু অক্সফোর্ডে, তৈরি করোনা প্রতিষেধক

covid vaccine

The News Nest: করোনা প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca) এবং ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট-এর (Serum Institute of India)। প্রায় ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে অন্তিম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে।

এ বার বাকি বয়স্কদের ওপর পরীক্ষা। তাদের শরীরে করোনার বিরুদ্ধে কার্যকারিতা পরখ করে দেখতে শেষ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হল অক্সফোর্ডের তৈরি প্রতিষেধকের (ChAdOx1 nCoV-19 vaccine)।

আরও পড়ুন : কথা রাখল না চিন, গালওয়ানের বিতর্কিত এলাকায় ফের তাঁবু গাড়ল লাল ফৌজ

বুধবার অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধান অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড জনান, প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবীণদের মধ্যে এই প্রতিষেধক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা প্রতিরোধের গড়ে তুলতে পারে, তা মূল্যায়ন করার জন্যই এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।

একই সঙ্গে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের লক্ষ্য হল, এই প্রতিষেধক বিপুল সংখ্যক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে কিনা তা বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত করা। যদিও বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে বহু সংস্থা দাবি করছে তারা ওষুধ তৈরী করে ফেলেছে। নিয়মিত এমন কোনো না কোনো খবর সামনে আসছে। তবে এখনও কারও দাবি স্বীকৃত হয়নি।

সম্প্রতি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘PLOS One’-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, যে কোনও প্রতিষেধক তৈরিতে সময় লাগে (গবেষণাগারে আবিষ্কার থেকে চিকিৎসার জন্য বাজারে উপলব্ধ হওয়া পর্যন্ত) মোটামুটি ১০ থেকে ১১ বছর। প্রতিষেধকগুলির গড় সাফল্যের হার মাত্র ৬ শতাংশ। 

তবে সেই হিসাবকে অনেকটাই পিছনে ফেলে মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই অক্সফোর্ডের গবেষকদের তৈরি করোনার প্রতিষেধক সফল ভাবে বাজারে আনতে চলেছে ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ এবং ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। তাই প্রতিষেধক বাজারে ছাড়ার আগে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সব রকম ভাবে নিশ্চিত হয়ে নিতে চাইছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা।

আরও পড়ুন : সন্ত্রাসবাদীদের মদত জোগানো বন্ধ করেনি পাকিস্তান, ঠাঁই ধূসর তালিকাতেই

Exit mobile version