#WorldHeartDay: ব্যবস্থা নিন আগেভাগেই! চিনে নিন হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণগুলি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

জেটগতির যুগেও কি অকালে হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে বা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে আসলে প্রথমেই প্রয়োজন আমাদের লাইফস্টাইলের পরিবর্তন ঘটানো।

ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন জানাচ্ছে, গোটা বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হৃদরোগ। বিড়ি, সিগারেট খাওয়া থেকে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, বায়ূ দূষণ- সবই হৃদরোগ ডেকে আনতে পারে। এ বছরের বিশ্ব হৃদযন্ত্র দিবসে হার্ট ফেডারেশন ঠিক করেছে, হৃদযন্ত্রের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করবে তারা।

আইসিএমআর রিপোর্ট বলছে, ভারতে সমস্ত বয়সীদের মধ্যে ১৯৯০ থেকে ২০১৬-র মধ্যে হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। প্রতিটি রাজ্যে হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ভারতে যত মৃত্যু হয়, তার মধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। ভারতে হার্ট ফেলিওরে মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২০ লাখ ৩০ হাজারের মধ্যে ঘুরছে।

যখন হৃদপিণ্ডের কোনও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ—এগুলি মূলত হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। সমস্যা হল কখনও কখনও বুকে কোনও ধরণের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তা খুব ভাল করে বোঝা যায় না। তাই জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণগুলি সম্পর্কে।

image

আরও পড়ুন: ভারতে ঢুকে পড়েছে করোনার থেকেও ভয়ানক ব্রুসেলোসিস! ভয়াবহ আকার ধরণের আশঙ্কা

১) হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের প্রায় ১ মাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন।

২) হটাত্ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে সে তা অবহেলা করবেন না। কারণ, এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

৩) একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তা-ও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি আচমকা কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলি অবহেলা করবেন না।

৪) অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারি ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এ সব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৫) শুধু বুকে ব্যথাই নয়, শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের উপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাই এই বিষয়গুলিকে মোটেই অবহেলা করবেন না।

আরও পড়ুন: করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে লাগছে সদ্যোজাত বাছুরের রক্ত, জেনে নিন কেন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest