ওয়েব ডেস্ক: আমরা জানি সুস্থ থাকার পূর্বশর্ত হল, সুস্থ মানসিকতা, সুস্থ চিন্তা, সুস্থ কর্ম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ। কিন্তু বর্তমানে সুস্থ চেতনা বিসর্জন দিয়ে বিশ্বব্যাপী চলছে নেশার কবলে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে মানুষ, বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়।
আমরা এতোই বোকা যে সিগারেটের গায়ে ‘ধূমপান বিষপান’, ‘ধূমপানে ক্যান্সার হয়’, ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ ইত্যাদি পরীক্ষিত সত্যবাদী লেখা থাকলেও তা অগ্রাহ্য করি। ধূমপান যেন ফ্যাশন, স্মার্টনেস এবং পুরুষত্বের প্রকাশ।
আরও পড়ুন: বীর্যেও মিলল করোনার উপস্থিতি! সঙ্গমেও কি তাহলে ছড়াতে পারে ভাইরাস?
১) ধূমপানের কারণে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। টোবাকো ব্লাড সুগারের মাত্রা বৃ্দ্ধি করে। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীরা ধূমপান করলে তাঁদের মধ্যে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, নার্ভের সমস্যা, অন্ধত্বের সমস্যা প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।
২) ক্যানসারের অন্যতম কারণ হল ধূমপান। তবে সমস্ত ক্যানসারের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারই সবথেকে বেশি হয় ধূমপান করলে।
৩) হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ব্লাড ভেসেল ডিজিজ প্রভৃতি কার্ডিওভ্যাসকুলার ডিজিজের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ধূমপান।
৪) গর্ভবতী মহিলাদের ধূমপান করা একেবারেই উচিত্ নয়। গর্ভবতী মহিলারা ধূমপান করলে খুব ছোট বয়স থেকেই কিডনির সমস্যা হতে পারে শিশুর।
৫) ধূমপানে শ্বস-প্রশ্বাসের রোগ দেখা দেয়।
তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে, নিজে ভালো থাকতে এখনই ধূমপান ত্যাগ করুন।
জেনে নিন ধূমপান ত্যাগ র কিছু কার্যকরী উপায়-
১.ধূমপান ছাড়ার জন্য প্রথমে দরকার ইচ্ছাশক্তি।
২.কনসেনট্রেশনের জন্য অনেকেই ধূমপানের সাহায্য নেন। চিন্তা -ভাবনা শুরু হতেই নিজের অজান্তেই সিগারেট ধরিয়ে ফেলেন অনেকে। এক্ষেত্রে মনকে জিজ্ঞাসা করুন, সত্যিই কী সিগারেট ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়।
৩.সিগারেট খাওয়ার সময় শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন।মনের চোখে আপনার নাক মুখ গলা হৃৎপিণ্ড পাকস্থলীর প্রতিক্রিয়া অবলোকন করুন। ভয়াবহতা চিন্তা করুন।
৪. সিগারেটে টান দেবার সময় মনে করুন, গোখরা সাপ ফুসফুসের দিকে যাচ্ছে।
৫. এই পুরো প্রক্রিয়ায় আপনার যে অনুভূতি হলো তা একটি কাগজ বা ডায়েরিতে লিখে রাখুন।
৬.বাচ্চাদের সামনে ধূমপান করবেন না । মহিলাদের সামনে খাবেন না। বৃদ্ধদের কাছাকাছি এড়িয়ে চলুন। একমাত্র নিরিবিলিতে বসে ধূমপান করুন। দেখবেন ধূমপান কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর মত করোনার টিকা আবিষ্কার সম্ভব নাও হতে পারে, আশঙ্কা WHO-র