মাছ কেনা, সংরক্ষণ করা ও রান্না করার সহজ কিছু টিপস, যা আপনার অজানা!

জেনে নিই এমন কিছু নিয়ম যেগুলো মাছ রান্নার সময় প্রয়োগ করলে আপনার রান্না হবে একদম পারফেক্ট!
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মাছ রাঁধতে কিংবা খেতে ভালোবাসেন? এই ১৪ নিয়ম তাহলে আপনার জন্যই! চলুন, আজ জেনে নিই এমন কিছু নিয়ম যেগুলো মাছ রান্নার সময় প্রয়োগ করলে আপনার রান্না হবে একদম পারফেক্ট!

  • মাছ ভাজার আগে পাত্রটি আগে গরম করে নিন। শিকাগোর সামুদ্রিক মাছের রেস্ট্রুরেন্ট জিটি ফিশ এন্ড ওয়েস্টার এর এক্সিকিউটিভ শেফ ও পার্টনার জিউসপি টেন্টুরি বলেন, “চুলায় পাত্র রেখে ৩-৫ মিনিট তাপ দেয়ার পর মাছ দিন”। পাত্রটি চূড়ান্তভাবে গরম হলে মাছ উল্টে দেয়া সহজ হবে।
  • অনেকক্ষণ ধরে জ্বাল দিয়ে রান্না করলে মাছের স্বাভাবিক স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। মাছের টুকরার সাদা অংশগুলো যখন অস্বচ্ছ হয়ে আসবে কিন্তু মাঝের অংশটুকু কিছুটা স্বচ্ছ থাকবে তখনি চুলা থাকে নামিয়ে নিন।
  • রান্নার সময় খুব বেশি নাড়াচাড়া করলে মাছ ভেঙ্গে যাবে। তাই যথা সম্ভব কম নাড়াচাড়া করতে হবে।
  • ফ্রিজে থাকা মাছ রান্না করার বেশ কিছুক্ষণ আগে নামিয়ে ঠান্ডা জলে মাছের প্যাকেটটি ভিজিয়ে রাখুন। তাড়াতাড়ির জন্য গরম জলে ভেজাবেন না তাহলে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সুযোগ তৈরি হয়।
  • মাছ ম্যারিনেট করার সময় খুব অল্প পরিমাণ নুন দিন। সুস্বাদু করার জন্য লেবু, জলপাই তেল, মৌরি দিন। খুব বেশিক্ষণ ম্যারিনেট করা যাবেনা, তাহলে মাছ বেশি আদ্র হয়ে যাবে।
  • গলদা চিংড়ি রান্না করার আগে ৪ মিনিট সিদ্ধ করে নিন।
  • মাছ কেনার সময় মাছের চোখ স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল আছে কিনা দেখে নিন। তাজা মাছের শরীরে চাপ দিলে ডেবে যাবেনা। এছাড়াও মাছে আঁশটে গন্ধ হলে বুঝতে হবে যে এটা পচা শুরু হয়েছে।
  • চিংড়ি রান্নার সময় যদি সি আকারের হয় তখন সেটা সঠিকভাবে রান্না হয়েছে বুঝা যায় আর যদি ও আকৃতির হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে বেশিক্ষণ ধরে রান্না হয়েছে।
  • যদি এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের বেশি সময় মাছ সংরক্ষণ করা হয় এমনকি ফ্রিজেও যদি রাখা হয় তাহলে মাছের স্বাদ ও গুণগত মান কমতে থাকে। তাই মাছের পুষ্টি উপকারিতা ও পরিপূর্ণ স্বাদ পাওয়ার জন্য যত দ্রুত সম্ভব রান্না করে ফেলুন।

আরও পড়ুন: কত দিন অন্তর কাচবেন আপনার সাধের ডেনিমের প্যান্ট?

  • বেশিরভাগ মানুষই মাছের টুকরা শুধুমাত্র জল দিয়ে ধুয়েই রানা করে থাকে। কিন্তু মাছের টুকরা গুলোতে হলুদ ও লবণ মিশ্রিত করে তারপর কলের জল দিয়ে ধুয়ে নিলে ভালো। কারণ হলুদ ও লবণ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ময়লা দূর করে।
  • বিশ্বাস করা হয় যে, মাছ রান্না করলে মাছের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান গুলো কমে। ইনভাইরনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে যানা যায় যে, কেবল রান্নার মাধ্যমেই খাদ্যে প্রকট জৈব রাসায়নিক যেমন- পারফ্লুরোঅ্যাল্কাইল এবং পলিফ্লুরোঅ্যাল্কাইল কমানোর কার্যকরী পদ্ধতি নয়।
  • ইনভাইরনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল ও এক্সপোজার এনালাইসিস জার্নাল প্রকাশ করে যে, লেবুর রস মাছে উপস্থিত মার্কারি কমায়।
  • ইনভাইরনমেন্টাল জিওকেমিক্যাল এন্ড হেলথ রিস্ক জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, আর্সেনিক দূষিত সেঁকা মাছ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। এই প্রকার ভাজা মাছ খেলে লিভার ক্যান্সার হতে পারে।
  • মাছের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণের জন্য মাছে খুব বেশি নুন দেয়া বা ভাজা ঠিক নয়।

আরও পড়ুন: জেনে নিন, খুব নোংরা গ্যাস বার্নার পরিষ্কার করার সহজ উপায়…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest